যাও পাখি


যোগাযোগের গতিময়তা ধীরে ধীরে
কমে আসা শুরু করেছে।
আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকা বাঁধনের সুতো
দূরত্বের টানে ঢিলে হয়ে এসেছে যদিও
একেবারে ছিঁড়ে যায় নি ,
অদৃশ্য কোন জেদী সূতোর
পাকানো গিঁটের কারনেই হয়তোবা...।

একদিন সেই জেদী সূতো এঁকে বেঁকে
পেঁচিয়ে কেমন ডানা হয়ে যায় -
ছোট দু'টি পা...দু'টি ঠোঁট...
ঠোঁটের ফাঁকে গুঁজে রাখা ভালোবাসা...
সে ফিসফিস করে আমায় বলে,
"বন্ধু, ভালো আছিস তো ?"

আমি বুকের ভেতর হেঁচকা টানের
ব্যথায় কুঁকড়ে উঠি সুখে।
আমার ঢিলেঢালা বাঁধন ফের পোক্ত হয়ে ওঠে।

Comments

. said…
মেঘদলের বদলে রাঙা ধূলা করা হয়েছে।
আপনার ব্লগের ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে ফন্ট কালার কেমন যেনো চোখে লাগে, পড়তে সমস্যা হয়। অন্যদেরও কি?
আমি তো মুগ্ধ হয়ে আমার ব্লগের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমার কোন সমস্যা হয় না। এর আগে অন্য রকম ছিলো গেট-আপ। তিনবার বদলেছি এর মাঝে। আমার সবগুলাই ভালো লাগে। ঠিক করেছি আবার ইচ্ছা হলেই বদলাবো।

এ পর্যন্ত সমস্যা হয় তেমন কেউ বলে নি, হা হা হা আসলে পড়েই বা ক'জন? তবে দু'জন দুর্জনের চোখে সমস্যা হয় বলে জানা গেছে।
যেমনঃ
১।আনোয়ার সাদাত শিমুল
২।কনফুসিয়াস !
দাশু said…
শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় লাইনের দ্বিতীয় শব্দটায় কি 'ড়'হবে না। ইচ্ছে করে রাখলে অবশ্য অন্য কথা।
আমার এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে টেনশন মাথায় নিয়ে,কানে গান গুঁজে পদ্য পড়লাম। ভালো লাগলো 'পেঁচিয়ে ডানা হয়ে' যাওয়াটা।
হযু ভাই, ছি ছি কি ভুল বলুন তো! ওটা ইচ্ছে করে করি নি, বেখেয়ালে বানান ভুলই হয়েছে। ঠিক করে দিচ্ছি।

আপনি পড়েছেন জেনে একটু লজ্জা লজ্জা লাগছে, আমার এগুলো কবিতার "ক"ও নয়...আর পড়লেন কি না আপনিই?! থ্যাঙ্কু!
পদ্যের আবার রকম কীসের!! অনেকসময় খুব খাঁটি গদ্যও কাব্য হয়ে যায়। কবিতার কোনো নিয়মকানুন নেই। কোনো বাঁধা নেই, যেমন পাখি উড়ে যায় তেমনি কবিতাও উড়ে উড়ে যায় কোথায়!!

আমার মনও পাখি হয়ে যেতে চায়...
ঠিক বলেছেন মৃন্ময়, গদ্যও অনেক সময় পদ্য হয়ে ওঠে। সেরকম লেখা পড়াটা অন্য রকম সুখের অনুভূতি। কিছুদিন আগে সচলায়তনে এরকম একটা পদ্য স্বাদের গদ্য পড়লাম ফারুক ওয়াসিফের, স্রেফ অসাধারণ ছিলো।

আমার ব্লগস্পট ঘুরে গেলেন...কৃতজ্ঞতা।

Popular posts from this blog

হাত বান্দিবো পাও বান্দিবো | শাহ আবদুল করিম

দ্বিধা

নজমুল আলবাবের " পাতা ঝরার আগের গল্প" - আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া বা স্মৃতির চর্বণ