Posts

Showing posts from May, 2008

রাহেলা

--রাহেলা,অজুর পানিটা দিয়ে যাও তো। হঠাত ডাকে সচকিত হন রাহেলা বেগম। জমে যাওয়া পায়ে ধীর গতিতে হেঁটে যান স্বামীর কাছে। অপলক তাকিয়ে থাকেন। ভুলে যান স্বামীর আদেশ। ফের ডাক পড়ে। -- কি দেখো তাকিয়ে, কথা কানে যায় না? সারা দিন কোন ধ্যানে যে থাকো? আমার প্রথম বউ তো এরকম বেয়াদবী আমার সাথে কখনও করে নি। তোমরা আজকালকার মেয়েছেলে ... রাহেলা নিজের অপরাধের মাত্রা বোঝেন। শান্ত গলায় বলেন, -- আজকে শরীলটা ভালো নাই, তাই কাজে ভুল হয়ে যাচ্ছে, কিছু মনে কইরেন না। আমি এক্ষনি পানি আনছি। রাহেলা ওজুর পানি স্বামীর সামনে রাখতেই টান পড়ে হাতে। -- কি করেন? ছাড়েন। এখন না নামাজ পড়বেন! রোমান্টিক হবার চেষ্টা ব্যর্থ হতে দেখে জামাল সাহেব বোঝেন অল্প বয়েসী বউয়ের সাথে কঠিন করে কথা বলাটা ভুল হয়েছে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নামাজে বসেন তিনি। রাহেলা বেগম রান্নাঘরে ঢুকে আবার নিজের চিন্তার জগতে ডুব দেন। আজ তার কি যে হলো ... কেবল পুরনো কথা গুলো এসে ভীড় করছে মনের মধ্যে। চুলায় ভাত ফুটতে থাকে ... রাহেলা বেগম এক নিমিষে "রাহু" হয়ে ভাবতে থাকেন একই সাথে সুখ অথবা দুঃখ স্মৃতি। সুন্দরী রাহেলা। নিজের প্রতি সবার আকর্ষন খুব ভালো করেই টে

২৫শে বৈশাখ

Image
পার্থিব সমস্ত অনুভূতির শেষ ভরসা তিনি একজনই- সকল আশার, সকল নিরাশার, যত ভালোবাসা, যত ঘৃণা, যত ভক্তি, যত শোক, যত উচ্ছ্বাস, যত শান্তি এবং পরিপূর্ণতা। হৃদয়ের সমস্ত বিতর্ক অবশেষে এইখানে এই শান্তিময় মহাপুরুষের কাছে এসে থেমে যেতে বাধ্য। "গীতবিতান"-এর পাতায় পাতায় একে একে সব সমাধান লিখে গেলেন তিনি অবলীলায়। মানুষের গভীরতম আবেগকে পরম যত্নে গেঁথে দিলেন সুরের মালায়। সৃষ্টি হলো অমর এবং চির আধুনিক গান। কত্তো বড় জাদুকর তুমি কবিগুরু, সব জেনে বসে আছো! বাংগালীর আজ বড় সৌভাগ্যময় দিন, ২৫শে বৈশাখ। আমার সামর্থ মাত্র এই ক'টা লাইন। তাই সম্বল করেই তোমায় প্রণতি জানাই গুরু।