Posts

Showing posts from 2011

মন কেমন করে

"মন কেমন করে"... এই কথাটা কেমন করে বলে গিয়েছিলো রবীন্দ্রনাথ? অনেকক্ষন ধরে শুয়ে ছিলাম, চোখ জুড়ে প্রচন্ড ঘুম। কিন্তু চোখ বন্ধ করলেই ঘুম উধাও। আর মন...সে যে আজ কেমন করছে। যখন বুঝতে পারলাম, আজ আর ঘুম আসবে না, ঠিক তখন হঠাৎ ভীষন পড়তে ইচ্ছা করতে শুরু করলো। নিজেই খানিক অবাক হলাম, গত কয়েক বছরে এরকম কিছু খুচরো সময় হাতে পেলেই ইন্টারনেটে ঢুকে পড়ি। ফেসবুক...ঘুরতে থাকি। নয়ত গুগলে ঢুকে নানান বিষয়ে সার্চ দিয়ে খোঁজখবর নেই। আর যদি ইউটিউবে ঢুকে পড়ি তাহলে তো কথাই নেই। আজ এই সব কিচ্ছু করতে ইচ্ছা করলো না। খুব গান শুনতে ইচ্ছা করছে। মোবাইল থেকেই সোজা কবীর সুমনের রবীন্দ্রসংগীত চালিয়ে দেই, "নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুলবনে"। আর তখুনি হঠাৎ করেই যেন কিছু একটা ক্লিক করে উঠলো মনের মধে। শরীরজোড়া আলস্য ভেঙ্গে উঠে গিয়ে আমি অনেক আগের পড়া প্রিয় একটা বই দিয়ে এলাম পড়ব বলে, হুমায়ূন আহমেদের "দেবী", সাথে শান্তিমাখা সব রবি ঠাকুরের গান। ঠিক তার আগে ফেসবুকে দুম করে চোখ পড়তেই দেখি ইউনিভার্সিটির এক জুনিয়র বন্ধু তার ছোট বোনের সাথে একটা ছবি তুলে প্রোফাইলে পিকচার হিসেবে দিয়েছে, নিচ

চিরন্তন

চুলে ইচ্ছামতন তেল দিলাম একটু আগে। এক সময় চুলে তেল দিতে এত বিরক্ত লাগতো! মামণি জোর করে ধরে চুলে তেল দিয়ে দিত, দেয়া শেষে তেলমাখা হাত কপালে আর গলায় ঘষে দিতো। আমি রাগে-বিরক্তিতে চিৎকার উঠতাম আর আম্মু বলতো, "আরে বুঝবি না, এত পড়াশুনা করিস, আরাম লাগবে দেখিস"। আমি প্রাণপণে ঘষে কপাল আর ঘাড়ের তেল তোলার চেষ্টা করতাম আর ভাবতাম, চুলে দিয়েছে দিক, কপাল-ঘাড়ের ব্যাপারটা কি?! বলা বাহুল্য, পরদিন চুলের শ্যাম্পুটাও আম্মুই করে দিতো। এখন আর এই সবের বালাই নেই। সেই স্বার্থহীন ভালোবাসা, শত মুখঝামটা সহ্য করেও কেবল মঙ্গলই চেয়ে যাওয়া... সেই সব রূপকথার মত স্মৃতি হয়ে গেছে সব। এখন শুধু এতটা বয়সে আম্মুর সেই সব বিরক্তিকর আদর, ভালোবাসা আর যত্নের জন্য মাঝে মাঝে নিজেকে এত বেশি কাঙাল মনে হয়! একটাবার, কোনভাবে, যেকোনভাবে যদি তার কাছে যেতে পারতাম... যত দূর হোক, শুধু যদি সেটা হতো এই পৃথিবীর কোন একটা জায়গা, আমি গিয়ে তার বুকের মধ্যে লুকিয়ে থাকতাম। মাগো, কত খারাপ ব্যবহার যে করেছি, কত মুখে মুখে তর্ক, বেয়াদবী, তোমার আদরের মূল্যটুকুই দিই নি কখনও। আর ক'টা দিন সময় দিতে মা, আরেকটু বড় হতাম, আরেকটু বুঝতে শিখতাম... আর যদি জা