Posts

Showing posts from April, 2020

নজমুল আলবাবের " পাতা ঝরার আগের গল্প" - আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া বা স্মৃতির চর্বণ

Image
আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা নয়। গল্পের ছলে উল্টেপাল্টে আনা ফেলে আসা জীবন আর স্মৃতির এক মায়ার বাক্স "পাতা ঝরার আগের গল্প"। দেশ, মা, বাবা, মধ্যবিত্ত মফস্বলের জীবন- যেখানে কবিতা, গান বা নাটকের মত বোকা বোকা সংস্কৃতির চর্চা করা ছাপোষা মানুষেরা তাদের ছোট ছোট তীব্র সুখ, বেদনা এমনকি অপমান নিয়ে বেশ দিব্যি বেঁচে থাকে। কিছু "মফস্বলীয়" মানুষ আছে, জীবনভর ওরকমই গোঁয়ার থেকে যায়। তারা শহরতলির ক্ষুদ্র গন্ডি পেরিয়ে কোন এক উজ্জ্বল শহর বা/ এমনকি ভিনদেশে বাস করেও অনেক দূরের অথচ সবচেয়ে আপন নিজের দেশের স্মৃতি সম্বল করেই আজীবন বেঁচে থাকে। সেই সব পাঠক এক একটি গল্প পড়বেন আর একটু একটু করে কোথাও নিজেকে খুঁজে পাবেন। "পাতা ঝরার আগের গল্প" বইয়ের এই অত্যন্ত ছোট ছোট ফরম্যাটের গল্পগুলোকে "অণুগল্প" বলতে শিখেছিলাম অনেএএএক দিন আগে-  কৈশোরের কোন এক উজ্জ্বল দিনে, যেখানে "ভোরের কাগজ" বা "ভোকা" ছিলো, যেখানে "পাঠক ফোরাম"-এর জন্ম হয়েছিলো, সেখানে সঞ্জীব চৌধুরী আর গিয়াস আহমেদ "ফিচার" আর "অণুগল্প" লিখতে শিখিয়েছিলেন, কিছু &quo

ক্যাফের শহর মেলবোর্ন

সোম থেকে শুক্রঃ প্রতি দিন ভোরবেলা লম্বা ট্রেন যাত্রা করে শহরতলী থেকে পৌঁছুই মেলবোর্ন শহরে।   ট্রেন থেকে নেমে কাজে যেতে মাত্র দু/ তিন মিনিটের পথ। এই দু/ তিন মিনিটে যে রাস্তাটা পার হই তার নাম Degrave Street। রাস্তার দুই পাশ জুড়ে সারি সারি ক্যাফে। অত ভোরেই পুরোপুরি ব্যস্ত সমস্ত হয়ে ওঠে ডিগ্রেভ ক্যাফে পাড়া আর ফ্রেশলি ব্রুড কফির মৌতাতে ম ম করে পুরো এলাকাটা। দু'টো পা ফেলার পরেই আমি বুকভরে শ্বাস নেই, আসলে নিঃশ্বাসের সাথে টেনে নিতে চাই পৃথিবীর সমস্ত সুগন্ধির চাইতেও যে গন্ধ আমার বেশি প্রিয় তাকে। একেকটা কফিশপের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে   কফির মতই তাজা তাজা ছেলেমেয়েরা, তারা মিষ্টি হেসে ভোরের শুভেচ্ছা জানায়। তাদের সাথে হালকা মাথা নুইয়ে এগুতে এগুতে দেখি আরো আরো মানুষের মুখ। এই সব মানুষদের দেখে আমার কেবলই মনে হয় এদের বুঝি কোন কাজ নেই, এরা কেমন যেন, " তোমরা যা বলো তাই বলো/ আমার যায় বেলা বয়ে যায় বেলা/ কেমন বিনা কারণে " এরকম গোত্রের মানুষ। কারো মধ্যে কোন তাড়া নেই। ওরা আরাম করে বসে গ্যাছে, গোল গোল টেবিলগুলোর ধার ধরে। প্লেট ভর্তি খাবার - The famous Aussie big brekki। আছে পোচড এগস, বা স্ক্রাম্বল