কোলের ওপর...:-)

আজব একটা সময় কাটাচ্ছি। না আসলে সময়টা আজব বলা ঠিক হচ্ছে না, সময় তো একই আছে, আমি সামহাউ আজব হয়ে আছি। কারন এখানে লিখব না। তবে অন্য কিছু লিখি। লিখলে এক ধরনের আরাম হয়। এই আরামটা এখন আমার খুব দরকার।

আমি মনে হয় ল্যাপটপে বসে জীবনেও লিখি নাই এর আগে, আজকে খুব মজা লাগছে কোলের ওপর জিনিসটা ফেলে লিখতে। এটা তারেকের পুরনো ল্যাপটপটা। নষ্ট হয়েছে ভেবে আরেকটা কেনার বেশ কিছু দিন পরে টের পাওয়া গেলো যে আসলে পুরানটার সমস্যা খুব গুরুতর না, শুধু হার্ডড্রাইভ বদলে দিলেই ঠিক হয়ে যাবে। কিরম লাগে? তাইলে কেন নতুনটা কেনা হলো? এখন আবার খালি খালি আগেরটার জন্য হার্ডড্রাইভ কিনে কি হবে? কিচ্ছু হবে না, তাও আমরা কিনে ফেললাম। এরকম অদরকারী কাজের একটা আলাদা মজা আছে। দুম করেই কেনা হলো। আগের দিন কি ভেবে তারেককে বললাম, "আমাকে একটা হার্ডড্রাইভ কিনে দিবি নাকি পুরান ল্যাপটপটার জন্য"? আমি কিছু চাইলে এই ছেলে বেশ খুশি হয়। একগাল সরল হাসি দিয়ে বললো, "তাই? আচ্ছা দাঁড়া"। পরের দিন তার কাজ চারটা পর্যন্ত, সে ১টার সময় ফোন করে বলে, "ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটিতে একটা সোয়াপ মার্কেট বসেছে চারটা পর্যন্ত। আমি কাজ থেকে আজকে আগে ছুটি নিচ্ছি। ২টায় বাসায় আসছি, রেডি থাকিস"। অতঃপর মাত্র ৭০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে ১৬০ গিগাবাইট মেমোরির একখানা হার্ডড্রাইভ কেনা হলো।

পুরান জিনিস ইউজ করে ক্যান জানি আমি অন্য রকম একটা মজা পাই। স্কুলে পড়ার সময় ছোট আপুর পুরানো বই পড়েছি অনেক। আপুরগুলো আগে পড়তাম, তারপর কিছুদিন পরে নতুন বই কেনা হতো। আমি নতুন বইগুলোর গন্ধ নিতাম, আর আপুর পুরানগুলো পড়তাম! ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় তো প্রায় সবাইই পুরানো বইয়ের ভক্ত হয়ে যায়। মূল কারণটা অর্থনৈতিক এবং বইয়ের মান, দুইটা মিশ্রিত। কারন নতুন বইগুলো সাধারণত হত ফটোকপি, মান ভালো ছিলো না। ওদিকে পুরানো বই পাওয়া যেতো কিছু যেগুলো আসল কপি কিন্তু পুরানো। সেগুলো ডেফিনিটলি অনেক বেশি আকর্ষনীয় ছিলো। তো, এখন এই পুরনো ল্যাপটপ ল্যাপে বসিয়ে বেশ সেরকম একটা অনূভুতি হচ্ছে আমার। এটা পুরনো হলেও তারেকের নতুনটার চেয়ে মানে ভালো। :-)

ল্যাপটপে লেখা উদ্বোধন করতেই আজকে লিখছি। কিন্তু কাহিনী হচ্ছে, লিখতে চেয়েছিলাম চা-কফি বিষয়ক আমার প্রেম-ভালোবাসার কথা, আর লিখে ফেললাম কি? তাতে সমস্যা অবশ্য কিছু নেই, ওই নিয়ে নাহয় আরেক দিন হবে।

Comments

Anonymous said…
আমি তো ব্লগের হেডিং দেখে অন্য কিছু ভেবে খুশি হয়ে উঠসিলাম!!

হা হা হা।
আরে পোলাপান, খাইসা কাম পায় না! হা হা হা...
toxoid_toxaemia said…
বুঝলানা আপু, পুলাপাইন বেশি পাকনা হয়ে গেছে আজকাল।
তোমার প্রথম ল্যাপিতে লেখার কথা শুনে বেশ মজা লাগল। আমার প্রথমে ল্যাপির মাউসপ্যাড নিয়ে সমস্যা হত। খুব বিরক্তিকর বস্তু ছিল আমার কাছে সেটা, আর এখন আমি তো ডেস্কটপেও অনেক সময় মাউসপ্যাড খুঁজতে থাকি আজকাল মনের ভুলে।
আর নতুন হার্ডডিস্কটাও বেশ সস্তায় পেয়েছ বলতে হবে।
নতুন লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

Popular posts from this blog

হাত বান্দিবো পাও বান্দিবো | শাহ আবদুল করিম

নজমুল আলবাবের " পাতা ঝরার আগের গল্প" - আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া বা স্মৃতির চর্বণ

ক্যাফের শহর মেলবোর্ন