Posts

Showing posts from July, 2008

কি সন্ধানে যাই সেখান আমি...

(গত কয়েক দিনের বিচ্ছিন্ন দিনলিপি) তুমি না থাকলে সকালটা এত মিষ্টি হতো না দুই তিন ধরে একটু সকালে উঠার অভ্যাস করছি। একটু হালকা নাস্তা করি, চায়ের কাপ হাতে নিয়ে সচলায়তনে লগ-ইন করি, পড়তে থাকি। ফেসবুকে ঢুঁ মেরে হোমপেজে বন্ধুদের আপডেট দেখি। এই-ই ভালো লাগে তবু মাঝে কিছুক্ষণ রান্নাঘরের রঙীন মশলাপাতি আর চাল-ডাল-পেঁয়াজ-রসুন নিয়ে নাড়াচাড়া করতে হয়। ভাবছি, সকালে উঠতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। প্রয়োজনের বাইরের কাজগুলো আয়েশী ভঙ্গিতে করে নেবার সময় পাওয়া যায়। দেশ থেকে বই এসেছে অনেকগুলো, অনেক দিন পর নতুন বই হাতে নিলাম- কি যে আনন্দ! "সচলায়তন সংকলন" নিয়ে টুকটাক কিছু অভিযোগ শুনেছিলাম, ফন্ট বেশি ছোট হয়েছে, কাগজের মান তেমন ভালো নয়-এসব। আমার তো মনে হলো আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বইটা হাতে নিয়ে বসে আছি। কি চমৎকার প্রচ্ছদ। ক্ষুদ্র অক্ষরগুলো দেখে ভাবি আহা কি চমৎকার গুটি গুটি হরফে ছাপা । বইমেলা নিয়ে বরাবরই আমার উচ্ছ্বাস অনেক বেশি, এবারেরটা আরো অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিলো, খুব কাছের মানুষদের বই ছাপা হয়েছে বলে। আর এমন কপাল, এবারই প্রথম বইমেলায় থাকতে পারলাম না। তখন থেকেই অপেক্ষায় আছি। কিন্তু "সচলায়তন সংকলন"

"সচলায়তন" নিয়ে উদ্বেগ

সমস্যা কিছু একটা হয়েছে- কি সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এই ধোঁয়াশার মাঝে পড়ে মনে হচ্ছে, আমাদের অতি প্রিয় "সচলায়তন" ব্যান করা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে! নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সচলায়তন সাইটের নির্মাতারা যথেষ্ট ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সাধারন ব্লগার-লেখক-পাঠকরা অস্থির হয়ে আছি, কিন্তু তারা নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলছেন না। কিন্তু এটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে বাংলাদেশ থেকে www.sachalayatan.com সাইটে ঢোকা যাচ্ছে না। মূল সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, সেখানে তো কোন সমস্যা নেই! এবং বাংলাদেশ ছাড়া আর অন্য সব দেশ থেকেই সচলায়তনে ব্রাউজ করা যাচ্ছে। কাজেই এটা অবশ্যই সাধারণ টেকনিকাল সমস্যা না। তো? কেন এরকম হচ্ছে বুঝছি না। কেমন গোমট বেঁধে আছে সব। কোন কিছুতে মন বসানো যাচ্ছে না। মনে প্রানে চাইছি যা ভাবছি তা সত্যি না হোক। কিন্তু সেই সম্ভাবনাই যে প্রবল! বাংলাদেশ কোন পথে এগুচ্ছে তাহলে? ইন্টারনেটে বসে মুক্তমনে নিজের কথাগুলো বলাও কি বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে? খুব দ্রুত অবসান ঘটুক এই ধোঁয়াশার। আমাদের ভীষন প্রিয় "সচলায়তন" আগের মত সচল হয়ে উঠুক বাংলাদেশে। ----------------------------------------

কোলের ওপর...:-)

আজব একটা সময় কাটাচ্ছি। না আসলে সময়টা আজব বলা ঠিক হচ্ছে না, সময় তো একই আছে, আমি সামহাউ আজব হয়ে আছি। কারন এখানে লিখব না। তবে অন্য কিছু লিখি। লিখলে এক ধরনের আরাম হয়। এই আরামটা এখন আমার খুব দরকার। আমি মনে হয় ল্যাপটপে বসে জীবনেও লিখি নাই এর আগে, আজকে খুব মজা লাগছে কোলের ওপর জিনিসটা ফেলে লিখতে। এটা তারেকের পুরনো ল্যাপটপটা। নষ্ট হয়েছে ভেবে আরেকটা কেনার বেশ কিছু দিন পরে টের পাওয়া গেলো যে আসলে পুরানটার সমস্যা খুব গুরুতর না, শুধু হার্ডড্রাইভ বদলে দিলেই ঠিক হয়ে যাবে। কিরম লাগে? তাইলে কেন নতুনটা কেনা হলো? এখন আবার খালি খালি আগেরটার জন্য হার্ডড্রাইভ কিনে কি হবে? কিচ্ছু হবে না, তাও আমরা কিনে ফেললাম। এরকম অদরকারী কাজের একটা আলাদা মজা আছে। দুম করেই কেনা হলো। আগের দিন কি ভেবে তারেককে বললাম, "আমাকে একটা হার্ডড্রাইভ কিনে দিবি নাকি পুরান ল্যাপটপটার জন্য"? আমি কিছু চাইলে এই ছেলে বেশ খুশি হয়। একগাল সরল হাসি দিয়ে বললো, "তাই? আচ্ছা দাঁড়া"। পরের দিন তার কাজ চারটা পর্যন্ত, সে ১টার সময় ফোন করে বলে, "ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটিতে একটা সোয়াপ মার্কেট বসেছে চারটা পর্যন্ত। আমি কাজ থেকে আজকে আগে