Posts

Showing posts from January, 2009

চা - নাস্তা বিষয়ক গপসপ

একটা রুটি, এক কাপ চা। এই ছিলো আমার আমার নিয়মিত সকালের নাস্তা। রুটি আমার এত প্রিয় ছিলো যে বাবা-মা আমাকে বলতো বিহারী মেয়ে। আজ অনেক দিন পরে এই মেন্যুতে সকালের নাস্তা হলো। দেশে থাকতে ভীষন স্বাস্থ্য-সচেতন ছিলাম, হালকা খেতে হবে, মোটা হওয়া যাবে না। ভাত ভালো লাগতো না মোটেই, শুধু দুপুরে অল্প একটু ভাত সাথে প্রচুর শশার সালাদ, আর সকালে এবং রাতে একটা করে রুটি, সাথে সবজি, ডিম পোচ বা অন্য কিছু। অবশ্য খানিক গুলিয়ে ফেলছি বোধ করি, কারন এই রুটিন একেবারে ছোটবেলার এবং দেশে থাকার শেষ দু'বছরের, যখন বাবা ঢাকায় বদলি হয়ে এলেন। মাঝে ইউনিভার্সিটির হলে ছিলাম যখন, তখন তো খাবারের কোন ঠিক ছিলো, যখন যা পাই তাই খাই অবস্থা। সকালে নাস্তাই হতো না, ক্লাসের ফাঁকে দুম করে গিয়ে হয়তো একটা সিঙারা খেতাম, তাও সিঙারার ভেতরের সব আলু ফেলে বাহিরের খোলস। মাঝে মাঝে একটা মজা হতো, কেউ কেউ সিঙারার আলু বেশি পছন্দ করতো বাইরের ময়দার খোলসের চাইতে, তাদের সাথে আমার এই খোলস এবং আলু বিনিময়। -ওই তুই আলু ফালাস ক্যান, আমারে দে। -আচ্ছা, তাইলে তুই আমারে সিঙারার কোনার দিকের শক্ত অংশটা দে। ভালো বিনিময় প্রথা। রানীর কথা মনে পড়ে খুব, বিশেষ করে যখন চা খ

পুনর্বচন

মাত্র সচলায়তনে অরূপ'দার "প্ল্যানেট আর্থ" পোস্টটা পড়লাম। সংগে থাকা ক্লিপিং-গুলো দেখলাম। প্রকৃতির কি অপার বিস্ময়! ...অরূপ'দা বলেছেন আপনার বাবা-মায়ের সাথে বসে এই ডকুমেন্টারীটা দেখার কথা। আমারও ওমনি মনে হলো, আমার বাবা-মায়ের সাথে বসে আমি এটা দেখতে পারতাম। ওরা দুজনেই খুব প্রকৃতি পছন্দ করে। বিশেষ করে আমার মা। ফুল দেখলে পাগল হয়ে যেতো। আর সারাদিন ন্যাশনাল জিউগ্রাফি চ্যানেল খুলে বসে থাকতো। একটা সময় আমাদের বাসায় স্যাটেলাইট চ্যানেল ছিলো না, "একুশে টিভি"তে সপ্তাহে একবার নাকি প্রতিদিন সন্ধ্যায় এরকম কোন একটা অনুষ্ঠান থাকতো, তাই দেখতো মুগ্ধ হয়ে। স্যাটেলাইট চ্যানেল আসার পরে মামণি কোনদিন হিন্দী সিরিয়াল দেখে নি। বাংলা অনুষ্ঠান দেখতো, নাটক-সিনেমা। আমরা মাঝে মাঝে অনুবাদ করে দিয়ে কিছু হিন্দী সিনেমা দেখিয়েছি, অপছন্দ করতো না। কিন্তু তার যত বিশেষ আগ্রহ ছিলো এই ফুল-পাখি-হরিণ-চিতাবাঘ-গহীন অরণ্য-অতল সুমদ্রের বুকে নাম না জানা অসংখ্য প্রাণীর প্রতি। আহারে, কি খুশি হতো যেন এই "প্ল্যানেট আর্থ" দেখে। এখন প্রতিটা মুহুর্ত দেখবো আর মা'র কথা মনে হবে। কি বিস্ময় আর আনন্দ ফুটে উঠতো ত

আজ শুধু নতুন

এরকম ধুরুম ধারুম করে যে কেমন একটা বছরই চলে গেলো টের পেলাম এই ৩১ ডিসেম্বরে এসে! ভাগ্যিস, এমন করেই কেটেছে। আজ নতুন বছর ২০০৯-এর প্রথম একটা দিন পার করে ভাবছি, কেমন কাটতে পারে এই বছরটা? নতুন বছরের রেজ্যুলেশন বলতে যদি এবার কিছু থেকে থাকে, তার শুরুতেই আছে...আর কি? দেশে যেতে চাই। শুধু চাই বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলা নয়, এবার সম্ভাবনার শতকরাও বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। তাই কেবল অপেক্ষা সেটা সত্যি হবার, আর প্রার্থনা। আজ একটা মজার কথা মনে হলো, ছোটবেলার অনেক কুসংস্কারের মধ্যে এটা একটা। নতুন বছরের প্রথম দিনটা নাকি সারা বছরের একটা সারাংশ। সুতরাং এই দিনটায় সব ভালো ভালো কিছু করার চেষ্টা করতে হবে, নইলে বছরের বাকি দিনগুলোও যে তেমনই যাবে! সেই বিশ্বাসটা এখন আর নেই ছোটবেলার মত, কিন্তু একটু হলেও মনের মধ্যে উঁকি দেয়, খানিক হাসিমিশ্রিত হলেও। আজ অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারলাম না গত বছরের ১ জানুয়ারী আমি কি কি করেছিলাম! তাই দুম করেই ঠিক করলাম, আজ কি কি করেছি তা লিখে রাখব যেন বছর শেষে মেলাতে পারি। আজ দিনের শুরু যদি দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ধরি তাহলে প্রথম যে কাজটা করেছিলাম তা হলো, অত রাতে হঠাৎ করে নুডুলস রাঁধতে শুরু করেছিলাম!