মধ্যপথে ঠেকলো গাড়ি...
কুয়ালামপুরে বসে লিখছি। আমার এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি সত্যি সত্যি দেশে যাচ্ছি! এরকম হয়, যে ব্যাপারগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি উতসাহ, আগ্রহ, প্রত্যাশা, অপেক্ষা বা এমন যেকোন ভালো লাগা বা কষ্টের অতি মানবীয় আবেগ জড়িয়ে থাকে, সেই ব্যাপারগুলো চোখের সামনে চলে এলে আমি ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারি না। এয়ারপোর্টে তারুকে ফেলে যখন ইমিগ্রেশান পার হচ্ছিলাম, তখন আবার এটাও বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে আমি সত্যি একা যাচ্ছি। তারুর সাথে যেকোন কিছু শেয়ার করে নিতে ভালো লাগে। নিশ্চিন্ত লাগে। আজ প্লেনে মোবাইল ফোনটা সুইচ অফ করবার পরেও কতবার যে কত কারনে ওকে কল করতে ইচ্ছা করেছে...। জানা কিছু ব্যাপার, তবু কথা বলে মিলিয়ে নিতে ভালো লাগে। মানুষ আজব ভীষণ। একই সাথে ভালো লাগা আর কষ্টের মিশেল দিয়ে কি যেন আজব এক আজব অনুভূতি হয়। এতদিন পরে দেশে যাচ্ছি সেই আনন্দ, আবার সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে ছেড়ে দশটা দিন আলাদা থাকাটাও অনেক কষ্টের। এই মানুষটার কাছে থাকবার জন্যই তো দেশ আর বাবা, আপু, বন্ধুদের ছেড়ে আসা! কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে এই প্রথম এলাম। অনেক গরম বাইরে। নেমেই একটা মজার ব্যাপার হলো, দু'টো বাংলাদেশি ছেলে, এখানেই থাকে বোধ করি, আমাকে ন...