ভরসা থাকুক

অবশেষে সুমন চাটুজ্জের একঘেয়ে সুরের কল্যানেই দুম করে কিছু একটা লিখতে বসলাম। নইলে তো রোজকার সেই যেই কে সেই মনের ভেতরে সব লিখে আজীবন ড্রাফট হিসেবে জমা করে রাখা খেরোখাতার ঝুলি। আজ দিদির সাথে টেলিফোনে কথা বলতে গিয়েও ব্যাপারোটা টের পেলাম। দিদি যখন বললেন, "মন খারাপ লাগলে ফোন দিও", আমি হেসে ফেলে বলি, "মনে মনে অনেক ফোন দেয়া হয় দিদি, বাস্তবে হয়ে ওঠে না"। দিদি হাসেন। তক্ষুনি মনে হয়, এমনি করেই আরো কত কি রোজ করব বলে ভেবেও করা হয়ে ওঠে না, কিন্তু আমার মনে মনে সেসব যেন ঠিক ঠিক হতে থাকে। যেমন এই টুকটাক দিনকার খানিক লিখালিখি। এমনি হাবিজাবিসহ বেশ কিছু বিশেষ বিষয় নিয়ে লিখতে চেয়েছি। কাজে যাবার পথে মাথার মধ্যে সেইসব কথা ঘুরপাক খেয়েছে, খুব সুন্দর উচ্চারনে পরিপাটি করে যত্ন নিয়ে আমি নিজের মধ্যে সেইসব কথা বলে গেছি, যেন বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি কারো সামনে বসে। মনে মনে পুরোটা বলা হয়ে গেলে ভাবি, আজ বাড়ি ফিরে এই কথাগুলোই লিখে ফেলি না কেন? কিন্তু মন বেচারা মনে হয়, এতে খুব ক্ষেপে যায়। কেন রে বেটি, সব বলা হয়ে গেলো আমার কাছে, আবার কেন আঙুলে ছোট ছোট বোতাম টিপে সেইসব কথার চর্বিত চর্বন? কোন মানে হয়? তারচে' ভুলে যা, যা জানার আমি তো জেনেই গেছি, নয়?

মনের সাথে এই আমার প্রায়দিনের খুঁনসুটি পর্যায়ের বিতন্ডা। অনেক কিছু লিখতে গিয়েও মনের মধ্যে হারিয়ে ফেলা।

কিন্তু সুমন বাবু অনেক বারের মত আজ আবার নাড়া দিলেন। কেমন করে কোন খানে বলতে পারি না। তবু ওইসব সুর আর গান মনটাকে আরো বেশি বিষন্ন করেই নাকি অনেক বেশি আশ্বাস দিয়ে কি যেন করে দিলো। আর অমনি উঠে বসে এইসব অনর্গল প্রলাপ লিখতে লিখতে আবার ভাবি, "একেকটা দিন মসৃন/ মিলে যায় মোটামুটি হাতে কিছু থাকে/ একেকটা দিন উঁচুনিচু/ কেউ নিলে পিছু/ ধোকা দিলে চুপিসারে কোনের দরজায়/"...তবু হাল না ছাড়ার গান থাকে। থাকে ভরসার গান। তো, থাকুক। ভরসা থাকুক।

Comments

. said…
ভরসা থাকুক...
Tasty Banker said…
আর সাইট টা অ সাধারন।

আমরা আপনাদেরপনা জন্য ১০০০ এর উপর ফ্রী বুকস আপলোড করেছি, মাসশেষ এ আরো প্রায় ১০০০ বুকস আপলোড করা হবে।

http://bdeconomy.blogspot.com/

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

Popular posts from this blog

হাত বান্দিবো পাও বান্দিবো | শাহ আবদুল করিম

নজমুল আলবাবের " পাতা ঝরার আগের গল্প" - আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া বা স্মৃতির চর্বণ

ক্যাফের শহর মেলবোর্ন