Posts

Showing posts from 2010

গঙ্গাফড়িং

শরীর খারাপ, সর্দি ভীষন, বেশ কয়েকদিন ধরেই। ভাগ্যিস, অসুখটা উইকেন্ডেই বেড়েছিলো, তাই রেস্ট নিতে পারলাম। আর আজ সিক কল দিয়ে দিলাম, টানা তিন দিনের অবসর। শরীরটা এখনও ভালো নেই। অষুধ খেয়েছিলাম, সেহেরীর আগে একটু ঘুমিয়ে নিলে ভালো হত, ঘুমটা সর্দির জন্য খুব ভালো কাজে দেয়। কিন্তু আজ কেমন যেন কি হয়েছে...তেমন অবশ্য কিছু না, ওই তো বাবার কথা খুব মনে হচ্ছে। বোকার মত বাবাকে একটা এস.এম.এস. ও দিয়ে ফেলেছি গলা ভেঙেছে বলে। আর তার সে কি টেনশান...আজ সবার সাথে ভীষন কথা বলতে ইচ্ছা করছে, তাই ধুমিয়ে এস.এম.এস. করে যাচ্ছি সবাইকে, গলাটা এরকম ভেঙ্গে না গেলে অনেক কথা বলা যেত। আর এখন খুব হাস্যকর ভাবে নিজের পুরনো লেখাগুলো পড়লাম বসে বসে। ব্লগস্পটেও যে কত ড্রাফট জমে আছে আমার! এই লেখাটাও একটা ড্রাফট হয়ে যেতে পারে শেষ মেষ কে জানে...হা হা হা। খুব লিখতে ইচ্ছা করছে কিছু যেন। একটা কোন গল্প। পুরনো গল্পগুলো পড়লাম, মাত্র কয়েকটাই, কিছুই হয় নি সেগুলো। তবু মায়া মায়া চোখে তাই পড়লাম। এখন যদি একটা এরকম কিছুই না-ও লিখতে পারতাম...কি যে একটা শান্তি হতো মনে।

ওয়াকা ওয়াকা এ ও...

রাত জেগে বিশ্বকাপের খেলাগুলোও দেখে চলছি নিয়মিত। খেলা দেখা মিস করতে আমি কিছুতেই রাজী না। আফটার অল, ইট হ্যাপেনস ওয়ান্স ইন ফোর ইয়ারস! পাড়ার মাঠের খেলা নাকি, বিশ্বকাপ বলে কথা। অবশ্য অস্ট্রেলিয়াতে খেলা দেখে বাংলাদেশের মত মজা আর কই? খেলা শুরু হবার সময় বেশ এক্সাইটেড হয়ে অফিসের সবাইকে এক এক করে জিজ্ঞেস করি, "বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া তো আছেই, আর কোন দল তুমি সাপোর্ট কর?" ব্যাটারা কিছুক্ষন বোঝেই না, চোখ কুঁচকে অবশেষে উলটা প্রশ্ন করে, "সকার"? মেজাজটা এমন খারাপ হয়, বিশ্বকাপ তো সকারেরই চলছে, ঢং! অবশ্য এদের বলে আর কি হবে? এরা ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েও ক্রিকেটে উৎসাহ নেই, আর তো ফুটবল। সারা বছর আছে শুধু ফুটির তালে। এখানে খেলাগুলোর টাইমিং খুব ঝামেলায় ফেলে দিয়েছে। রাত বারোটা এবং ভোড় সাড়ে চারটায় হয় খেলাগুলো। সাড়ে চারটার খেলা শেষ হয় ভোর সাড়ে ছয়টায়! কখনও এক ঘুম দিয়ে উঠে খেলা দেখি, কখনও একবারে খেলা দেখে ঘুমাই। ইনফ্যাক্ট আমি অবশ্য বেশিরভাগই টানা জেগে থাকি, যেমন আজ আছি। এমন ব্যাপার দাঁড়িয়ে গেছে, এখন খেলা না থাকলেও ঘুম আসে না রাতে। সারা রাত ধরে জেগে থাকি, পরের দিন অফিসে যাই প্রচ

নিঃশব্দে

সংগীর অভাব আমার হয় নি কোনদিনই - এই যে দেখো বইয়ের তাকে আর একটুখানি জায়গাও নেই অবশিষ্ট। গানের জলসায় যাওয়া হয় না আজকাল ঠিকই, তাই বলে গান শুনি না ভাবো না নিশ্চয়ই! গানের বাজারজাতকরণ ব্যাপারটা মন্দ নয় কি বল? যদিও ইদানিং আগের মত খবরের কাগজে খুঁজি না আজ কোথায় কখন কোন নাটকের শো চলছে, অথবা ভালো লাগা মুভির ফেস্টিভাল। কিন্তু সব আছে ডিভিডি হয়ে, হাতের কাছেই অন্য সব কিছুর মতই। আর আছে বিশ্বজোড়া জাল ছড়ানো এক গণকবাক্স। এত কিছু নিয়ে কাটানোর মত সময়গুলো অতিরিক্ত হয়ে যায় নি কখনই তাই আমার জন্য। বুঝতে পারছো তো? তোমাকে আজকের ব্যস্ত বিকালটার কথাই বলি নাহয়-- আজ কি হলো জানো? বিকাল বেলা হঠাত সে কি উত্তাল বাতাস! ঝড় ! আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতেই ভীষণ বাতাসে আমার স্কার্টের ঝুল গোল হয়ে ফুলে উঠলো! ঠিক ছোট্টবেলায় যেমন ঘরের কোনায় দাঁড়াতাম ফ্যানের বাতাসে ফ্রকের ঝুল ফোলাতে! আর ঠিক তখনই আমার একটুখানি, হ্যা খুব একটুখানিই তোমার কথা মনে হলো... ধানমন্ডি লেকে বেড়াতে গিয়ে একদিন হঠাত এমনি ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম আমরা, তোমার মনে পড়ে? সবাই যখন ছুটোছুটি করে আশ্রয় খুঁজতে ব্যস্ত, তখন তুমি আর আমি হাত ধরে লেকের পাড়ের রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে! আমি

রেললাইনে বডি দেবো, মাথা দেবো না

নাহ, অনেক হয়েছে, এইবার আমি সিদ্ধান্তে অটলঃ আগামীকাল থেকে চিনি বন্ধ। ব্যাপারটা এরকম মোটেই নয় যে আমি খুব মিষ্টি খেতে পছন্দ করি। বরং মিষ্টিজাতীয় যেকোন খাবারে যথেষ্ট অনীহাই রয়েছে। কিন্তু ঝামেলা বাধাচ্ছে একটা খাবার, থুড়ি পানীয়। আর কি...চা নয়ত কফি। চা-কফিতে ব্যাপক আসক্তি আমার, এবং সেটা চিনি সহ। প্রতি কাপে মিনিমাম এক চামচ চিনি খাই। তো দিনে তিন কাপ চা/কফি খেলে একদম ডিরেক্টলি তিন চামচ চিনি পেটে ঢুকে যাচ্ছে। তাইলে আর কেমনে কি? বয়স বাড়ছে, দিনে এক্সারসাইজ বলতে বাড়ি থেকে স্টেশন পর্যন্ত সতেরো মিনিট হাঁটা...আর কিছু না হলেও এই তিন চামচ করে চিনি তো শরীরে জমেই যাচ্ছে। গত আড়াই বছরে দশ কেজি ওজন কি এমনি এমনি বাড়লো? আড়াই বছর মানে ৯১২ দিন, মানে ২৭৩৭ চামচ চিনি!!! আজ রাতে যেহেতু ইতিমধ্যেই চা খেয়ে ফেলেছি, আগামীকাল থেকেই তাহলে শুরু। মরি-বাঁচি, চায়ে অন্তত চিনি খাবো না।