tag:blogger.com,1999:blog-10903080011817773312024-03-13T20:04:57.800+11:00আমার ভাঙা পথের রাঙা ধূলা...আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ...নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.comBlogger69125tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-66921770061852476942020-09-13T15:52:00.010+10:002020-09-13T15:55:54.770+10:00হাত বান্দিবো পাও বান্দিবো | শাহ আবদুল করিম<div dir="auto" style="background-color: white; color: #1c1e21;"><div class="ecm0bbzt hv4rvrfc ihqw7lf3 dati1w0a" data-ad-comet-preview="message" data-ad-preview="message" id="jsc_c_96" style="font-family: inherit; padding: 4px 16px 16px;"><div class="j83agx80 cbu4d94t ew0dbk1b irj2b8pg" style="display: flex; flex-direction: column; font-family: inherit; margin-bottom: -5px; margin-top: -5px;"><div class="qzhwtbm6 knvmm38d" style="font-family: inherit; margin-bottom: 5px; margin-top: 5px;"><span class="oi732d6d ik7dh3pa d2edcug0 hpfvmrgz qv66sw1b c1et5uql a8c37x1j muag1w35 enqfppq2 jq4qci2q a3bd9o3v knj5qynh oo9gr5id hzawbc8m" color="var(--primary-text)" dir="auto" style="-webkit-font-smoothing: antialiased; display: block; font-family: inherit; line-height: 1.3333; margin-bottom: -4px; margin-top: -4px; max-width: 100%; min-width: 0px; overflow-wrap: break-word; word-break: break-word;"><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="font-family: inherit; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span color="var(--primary-text)" style="font-family: inherit;">শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ দিবসে </span><span color="var(--primary-text)" style="font-family: inherit;">অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কালচারাল এক্সচেঞ্জ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের জন্য </span><span color="var(--primary-text)" style="font-family: inherit;"> “হাত বান্দিবো পাও বান্দিবো” এই গানটি গাইবো বলে ঠিক করেছিলাম। গানটি অসংখ্যবার শোনা হলেও নিজে গাওয়া হয়নি আগে। আমার খুব পছন্দের একজন শিল্পীর কণ্ঠে এটি শুনতে শুনতে প্রায় যখন তুলেই ফেলেছি - কণ্ঠে এবং ইউকুলেলেতে, তখন গানের বর্ণনা পড়তে গিয়ে দেখি, ইউটিউবে তাদের অফিসিয়াল সাইটে স্পষ্ট করে লেখা যে, গানটির শুধু প্রথম দুই লাইন শাহ আবদুল করিমের গান থেকে অনুপ্রাণিত, বাকি সুর এবং কথা আসলে অন্য আরেকটি প্রচলিত গান! ইউটিউবে গানটির আয়োজকরা তাদের অবস্থান সৎভাবে স্পষ্ট রেখেছেন, তারা দাবি না করলেও তুমুল জনপ্রিয় “আমার হাত বান্ধিবি পা বান্ধিবি” গানটি মানুষের মুখে মুখে বা বলা ভালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাহ আবদুল করিমের গান হিসেবেই প্রচার পাচ্ছে। </span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><br /></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">অনুষ্ঠানের জন্যে গান তৈরি করে দেয়ার ডেডলাইনের একদম শেষ পর্যায়ে গানটি নিয়ে উপরের তথ্য আবিষ্কার করে আমি মোটামুটি কিংকর্তব্যবিমুঢ় অবস্থায় চলে গেলাম। তারেক এবং আমি একমত হলাম যে, অন্তত শাহ আবদুল করিমের স্মরণে যে অনুষ্ঠান সেখানে তাঁর নিজের করা গান গাওয়াটাই যুক্তিযুক্ত হবে। </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="font-family: inherit; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">পরের অধ্যায় - মূল গান খুঁজে বের করা। কোথায় পাই? কী করে নিশ্চিত হই? সত্যি কথা বলতে আমি এখনও নিশ্চিত নই। আমি তো কালিকাপ্রসাদ নই, তবু নিজের মত করে চেষ্টা করলাম। যে গানটা শুনে আমি শেখার চেষ্টা করেছি তার কথা, সুর, গায়কী থেকে মনে বিশ্বাস জন্মেছে যে, সম্ভবত এটিই মূল গান। আমি যে ভার্সন শুনেছি, তার গায়ক চমৎকার গেয়েছেন। তবে দুঃখজনকভাবে সেই গানটির সঙ্গীতায়োজন আমার কাছে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয়েছে, শ্রুতিমধুর লাগেনি। তাই গান ভালো লাগলেও সঙ্গীতায়োজনের কারণে গানটি পুরোটা শোনা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="font-family: inherit; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">আমার জন্ম সিলেটে নয়, সিলেটি উচ্চারণ আমার জন্য সহজ নয়। স্বল্প সময়ে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে। আমি সত্যি আশা করি, প্রচলিত অন্য চমৎকার গানটি শ্রোতারা যেভাবে গ্রহণ করেছেন, তেমনিভাবে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের “হাত বান্দিবো পাও বান্দিবো” গানটিও বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে আরো বেশি ছড়িয়ে পড়বে। </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><iframe allowfullscreen="" class="BLOG_video_class" height="266" src="https://www.youtube.com/embed/yq_fiD5lELg" width="320" youtube-src-id="yq_fiD5lELg"></iframe></div><br /></div></div></span></div></div></div></div><div class="l9j0dhe7" id="jsc_c_97" style="background-color: white; color: #1c1e21; position: relative;"><div class="l9j0dhe7" style="font-family: inherit; position: relative;"><div style="font-family: inherit;"><div class="b3i9ofy5 l9j0dhe7" style="background-color: var(--comment-background); font-family: inherit; position: relative;"></div></div></div></div>নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-17228021692971904342020-04-17T13:35:00.001+10:002020-04-17T13:35:08.556+10:00নজমুল আলবাবের " পাতা ঝরার আগের গল্প" - আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া বা স্মৃতির চর্বণ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjeLudWJsf8dmFxM-_xCpiYj3yXXFinU3aVAna5oPJwStujS8Utt3Sfce9ampdTNPTsxidlg-pNOVRnokJG9-wShvzTdXqQP3YhoVlbCtXQMoOjTFDNTwVulImorCHfxS0kbLuap9Cez6Q/s1600/IMG_0540.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1600" data-original-width="1053" height="400" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjeLudWJsf8dmFxM-_xCpiYj3yXXFinU3aVAna5oPJwStujS8Utt3Sfce9ampdTNPTsxidlg-pNOVRnokJG9-wShvzTdXqQP3YhoVlbCtXQMoOjTFDNTwVulImorCHfxS0kbLuap9Cez6Q/s400/IMG_0540.jpg" width="262" /></a></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<br /></div>
আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা নয়। গল্পের ছলে উল্টেপাল্টে আনা ফেলে আসা জীবন আর স্মৃতির এক মায়ার বাক্স "পাতা ঝরার আগের গল্প"। দেশ, মা, বাবা, মধ্যবিত্ত মফস্বলের জীবন- যেখানে কবিতা, গান বা নাটকের মত বোকা বোকা সংস্কৃতির চর্চা করা ছাপোষা মানুষেরা তাদের ছোট ছোট তীব্র সুখ, বেদনা এমনকি অপমান নিয়ে বেশ দিব্যি বেঁচে থাকে।<br />
<br />
কিছু "মফস্বলীয়" মানুষ আছে, জীবনভর ওরকমই গোঁয়ার থেকে যায়। তারা শহরতলির ক্ষুদ্র গন্ডি পেরিয়ে কোন এক উজ্জ্বল শহর বা/ এমনকি ভিনদেশে বাস করেও অনেক দূরের অথচ সবচেয়ে আপন নিজের দেশের স্মৃতি সম্বল করেই আজীবন বেঁচে থাকে। সেই সব পাঠক এক একটি গল্প পড়বেন আর একটু একটু করে কোথাও নিজেকে খুঁজে পাবেন।<br />
<br />
"পাতা ঝরার আগের গল্প" বইয়ের এই অত্যন্ত ছোট ছোট ফরম্যাটের গল্পগুলোকে "অণুগল্প" বলতে শিখেছিলাম অনেএএএক দিন আগে- কৈশোরের কোন এক উজ্জ্বল দিনে, যেখানে "ভোরের কাগজ" বা "ভোকা" ছিলো, যেখানে "পাঠক ফোরাম"-এর জন্ম হয়েছিলো, সেখানে সঞ্জীব চৌধুরী আর গিয়াস আহমেদ "ফিচার" আর "অণুগল্প" লিখতে শিখিয়েছিলেন, কিছু "পাফোস" তৈরি করেছিলেন। আরো কিছু পথ হেঁটে তারা "বন্ধুসভা'য় পাড়ি জমিয়েছিলো। তারা "হৃৎকলম" লিখতো। সেইসব লেখকদের লেখনী হারিয়ে যায় নি তা দেখতে, জানতে, পড়তে বড় ভালো লাগে। নজমুল আলবাবের "অনুগল্প" সংকলনের এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে "হৃৎকলম" প্রকাশন থেকে, কাকতাল? হবে হয়ত। আমার কাছে তো সেও তবু কোন এক স্মৃতিরই অংশ।</div>
নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-26559095884472567742020-04-12T22:40:00.003+10:002020-04-12T22:45:35.596+10:00ক্যাফের শহর মেলবোর্ন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="p1" style="font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal; margin-bottom: 1px; text-indent: 20px;">
<span class="s1" style="font-kerning: none;">সোম থেকে শুক্রঃ প্রতি দিন ভোরবেলা লম্বা ট্রেন যাত্রা করে শহরতলী থেকে পৌঁছুই মেলবোর্ন শহরে।<span class="Apple-converted-space"> </span>ট্রেন থেকে নেমে কাজে যেতে মাত্র দু/ তিন মিনিটের পথ। এই দু/ তিন মিনিটে যে রাস্তাটা পার হই তার নাম Degrave Street। রাস্তার দুই পাশ জুড়ে সারি সারি ক্যাফে। অত ভোরেই পুরোপুরি ব্যস্ত সমস্ত হয়ে ওঠে ডিগ্রেভ ক্যাফে পাড়া আর ফ্রেশলি ব্রুড কফির মৌতাতে ম ম করে পুরো এলাকাটা। দু'টো পা ফেলার পরেই আমি বুকভরে শ্বাস নেই, আসলে নিঃশ্বাসের সাথে টেনে নিতে চাই পৃথিবীর সমস্ত সুগন্ধির চাইতেও যে গন্ধ আমার বেশি প্রিয় তাকে। একেকটা কফিশপের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে<span class="Apple-converted-space"> </span>কফির মতই তাজা তাজা ছেলেমেয়েরা, তারা মিষ্টি হেসে ভোরের শুভেচ্ছা জানায়। তাদের সাথে হালকা মাথা নুইয়ে এগুতে এগুতে দেখি আরো আরো মানুষের মুখ। এই সব মানুষদের দেখে আমার কেবলই মনে হয় এদের বুঝি কোন কাজ নেই, এরা কেমন যেন, " তোমরা যা বলো তাই বলো/ আমার যায় বেলা বয়ে যায় বেলা/ কেমন বিনা কারণে " এরকম গোত্রের মানুষ। কারো মধ্যে কোন তাড়া নেই। ওরা আরাম করে বসে গ্যাছে, গোল গোল টেবিলগুলোর ধার ধরে। প্লেট ভর্তি খাবার - The famous Aussie big brekki। আছে পোচড এগস, বা স্ক্রাম্বল্ড এগ, স্যটেড মাশরুম, পোড়া পোড়া গ্রিল্ড টমেটো, স্পিনাচ, হ্যাশ ব্রাউন, টোস্টেড ব্রেড। কেউ কেউ সাথে নিয়ে নিচ্ছে, বেকড বিন, স্ম্যাশড এভোক্যাডো ইত্যাদি। সাথে যে ক্যাপোচিনো, লাটে, ফ্ল্যাট হোয়াইট ইত্যাদি হরেক পদের কফি আছে প্রতিটা টেবিলে সে তো বলাই বাহুল্য। এর সাথে আছে ব্যস্ত পায়ে রাস্তাটি কোনমতে পার হয়ে অফিস পৌঁছানোর তাড়া খাওয়া মানুষ। তারা তাদের অভ্যাসমত টুক করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কোন একটা কফিশপের সামনে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাউকে মুখে বলে অর্ডার দিতে হচ্ছে না,<span class="Apple-converted-space"> </span>বারিস্তা জানেন কার জন্য কি বানাতে হবে, শুধু একবার মুখ চেয়ে নিশ্চিত করে নিচ্ছেন, "মিডিয়াম লাটে, তাই তো?"<span class="Apple-converted-space"> </span></span></div>
</div>
নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-55365218765033979402019-06-29T13:04:00.001+10:002020-04-12T22:49:27.372+10:00ম্যাজিকাল মোমেন্ট<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgcmvUSx0wQ0Wba-FYNuQ49oQBEcpxVmpl-3hZv1y5MQmo-6ejQ7vRsSNNSyu8C_n5o4dIbC391AjCFzO33ZckA1TJcqnRjlADiq9-EGNB4R7x0fILDLeiyWYqMbK3DtBeOsf05l0aJbE8/s1600/3594E7E7-58D5-416D-9CBA-7EFC6B86772F.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1600" data-original-width="1129" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgcmvUSx0wQ0Wba-FYNuQ49oQBEcpxVmpl-3hZv1y5MQmo-6ejQ7vRsSNNSyu8C_n5o4dIbC391AjCFzO33ZckA1TJcqnRjlADiq9-EGNB4R7x0fILDLeiyWYqMbK3DtBeOsf05l0aJbE8/s320/3594E7E7-58D5-416D-9CBA-7EFC6B86772F.jpeg" width="225" /></a></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
প্রতিবার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>জন্মদিনের<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আগে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আমাদের<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কমন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>প্রশ্ন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হচ্ছে<span style="font-family: "helvetica";"> - </span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
<span style="font-family: "helvetica";">“</span>এবারের<span style="font-family: "helvetica";"> </span>জন্মদিনে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>চাস<span style="font-family: "helvetica";">”? </span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
উত্তরটা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ও<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কমন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দুজনের<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তরফ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>থেকেই<span style="font-family: "helvetica";">, </span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
<span style="font-family: "helvetica";">"</span>কিচ্ছু<span style="font-family: "helvetica";"> </span>চাই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>না<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আমি<span style="font-family: "helvetica";">"</span>।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ব্র্যাকেটে<span style="font-family: "helvetica";"> "</span>আজীবন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ভালোবাসা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ছাড়া<span style="font-family: "helvetica";">! "</span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
এবার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>যখন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>প্রশ্ন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এলো<span style="font-family: "helvetica";">, </span>তখন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আমি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মাসরুফ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হোসেন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এর<span style="font-family: "helvetica";"> "</span>আগস্ট<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আবছায়া<span style="font-family: "helvetica";">" </span>পড়ছি।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>জানিও<span style="font-family: "helvetica";"> </span>না<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কোন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ফাঁকে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দুম<span style="font-family: "helvetica";"> </span>করে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বলে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ফেললাম<span style="font-family: "helvetica";">, </span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
<span style="font-family: "helvetica";">"</span>শেলীর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কবিতার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পড়তে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>চাই।<span style="font-family: "helvetica";">"</span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
একটা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কিছু<span style="font-family: "helvetica";"> </span>উত্তর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পেয়ে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>সে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বেশ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>নড়েচড়ে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বসলো<span style="font-family: "helvetica";">, </span></div>
<div style="color: #454545; font-family: helvetica; font-stretch: normal; line-height: normal;">
"আর"? </div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
<span style="font-family: "helvetica";">"</span>শেলী<span style="font-family: "helvetica";"> </span>যদি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পড়ি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তাহলে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কিটসও<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পড়তে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>চাই<span style="font-family: "helvetica";">, </span>বাবার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মুখে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দুই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>জনের<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কথাই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>শুনেছি।<span style="font-family: "helvetica";">"</span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
<span style="font-family: "helvetica";">"</span>চমৎকার।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আর<span style="font-family: "helvetica";">?"</span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
আমাকে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তখন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ভুতে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পেয়েছে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কিনা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>জানিনা<span style="font-family: "helvetica";">, </span>আমি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বলে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>যাচ্ছি<span style="font-family: "helvetica";"> -</span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
<span style="font-family: "helvetica";">"</span>রবার্ট<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ফ্রস্টের<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কবিতা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এখানে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ওখানে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পড়েছি<span style="font-family: "helvetica";">, </span>খুবই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ভালো<span style="font-family: "helvetica";"> </span>লাগে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কিন্তু<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আমার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>নাই<span style="font-family: "helvetica";">"</span>।<span style="font-family: "helvetica";"> </span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
<span style="font-family: "helvetica";">"</span>আচ্ছা<span style="font-family: "helvetica";">!" </span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
এবার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>সে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মিটি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মিটি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হাসছে।<span style="font-family: "helvetica";"> "</span>আমার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কলিগ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দেশে<span style="font-family: "helvetica";"> (</span>পশ্চিম<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বঙ্গ<span style="font-family: "helvetica";">) </span>যাচ্ছে।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দুটো<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>নিয়ে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আসতে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পারবে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আমার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>জন্য<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বলেছে।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দুটোর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মধ্যে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>একটা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আপনি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পছন্দ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>করতে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পারেন<span style="font-family: "helvetica";">"</span>।</div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
আমার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মাথায়<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তখন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কবিতা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ছাড়া<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কিচ্ছু<span style="font-family: "helvetica";"> </span>নেই।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বললাম<span style="font-family: "helvetica";">,</span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
<span style="font-family: "helvetica";">"</span>শ্রীজাত<span style="font-family: "helvetica";">, </span>শ্রীজাত<span style="font-family: "helvetica";">! </span>শ্রীজাত<span style="font-family: "helvetica";">'</span>র<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কবিতার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বই<span style="font-family: "helvetica";">"</span>।</div>
<div style="color: #454545; font-family: helvetica; font-stretch: normal; line-height: normal; min-height: 22.4px;">
<br /></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
এবার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আমরা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দুজনই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হেসে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ফেললাম।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আমারটা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বেশ<span style="font-family: "helvetica";"> "</span>লজ্জা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>লজ্জা<span style="font-family: "helvetica";">‘ </span>হাসি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>টা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হল<span style="font-family: "helvetica";"> ‘</span>সন্তুষ্ট<span style="font-family: "helvetica";">‘ </span>হাসি।<span style="font-family: "helvetica";"> </span></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
তিনি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ঢুকে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>গেলেন<span style="font-family: "helvetica";"> Amazon-</span>এ।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ট্রাম্প<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হ্যারি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পটারের<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দেশ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>থেকে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তিনটে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বাকি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দুটো<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এলো<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কলকাতা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>থেকে।<span style="font-family: "helvetica";"> </span></div>
<div style="color: #454545; font-family: helvetica; font-stretch: normal; line-height: normal; min-height: 22.4px;">
<br /></div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
পুনশ্চ<span style="font-family: "helvetica";">: </span>না<span style="font-family: "helvetica";">, </span>কবিতা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পড়ার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>প্রহর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কিন্তু<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আলাদা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>করে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আসেনি।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>জীবন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তো<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আসলে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পদ্যময়<span style="font-family: "helvetica";"> </span>নয়।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>অযাচিত<span style="font-family: "helvetica";"> </span>অপ্রত্যাশিত<span style="font-family: "helvetica";"> </span>অভিজ্ঞতায়<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ভরা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এক<span style="font-family: "helvetica";"> </span>একটা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ক্লান্তিকর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দিন<span style="font-family: "helvetica";">, </span>আর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>অতি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>অভ্যস্ত<span style="font-family: "helvetica";"> </span>একঘেয়ে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>জীবনে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মানুষ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>সম্ভবত<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বাঁচেই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হঠাৎ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পাওয়া<span style="font-family: "helvetica";"> </span>খুব<span style="font-family: "helvetica";"> </span>প্রেশাস<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এক<span style="font-family: "helvetica";"> </span>একটা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মুহূর্তের<span style="font-family: "helvetica";"> </span>জন্য।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>সেই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ম্যাজিকাল<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মোমেন্ট<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কখনো<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আপনি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এসে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ধরা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দেয়।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>কখনো<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>নিজেকেই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>সেটা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তৈরি<span style="font-family: "helvetica";"> </span>করে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>নিতে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হয়।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>নিজের<span style="font-family: "helvetica";"> </span>অজান্তেই<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আজকের<span style="font-family: "helvetica";"> </span>প্রতিটা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তুচ্ছ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মুহুর্তও<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পরিণত<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হয়ে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>রূপ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>নেয়<span style="font-family: "helvetica";"> </span>অন্য<span style="font-family: "helvetica";"> </span>একটা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>অস্তিত্বে<span style="font-family: "helvetica";">, </span>আদর<span style="font-family: "helvetica";"> </span>করে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>যার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>নাম<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আমরা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>দিয়েছি<span style="font-family: "helvetica";">, "</span>স্মৃতি<span style="font-family: "helvetica";">"</span>।<span style="font-family: "helvetica";"> "</span>ম্যাজিকাল<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মোমেন্ট<span style="font-family: "helvetica";">" </span>তখন<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হয়ে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ওঠে<span style="font-family: "helvetica";"> "</span>ম্যাজিকাল<span style="font-family: "helvetica";"> </span>মেমোরি<span style="font-family: "helvetica";">"</span>।<span style="font-family: "helvetica";"> </span></div>
<div style="color: #454545; font-family: helvetica; font-stretch: normal; line-height: normal; min-height: 22.4px;">
<br /></div>
<div class="p1" style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
</div>
<div style="color: #454545; font-family: "kohinoor bangla"; font-stretch: normal; line-height: normal;">
পুন<span style="font-family: "helvetica";">:</span>পুনশ্চ<span style="font-family: "helvetica";">: </span>ছবিটা<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আমার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>জন্য<span style="font-family: "helvetica";"> </span>বিশেষ<span style="font-family: "helvetica";"> </span>তাৎপর্যময়<span style="font-family: "helvetica";"> </span>হয়ে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>রইলো।<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এক<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ছবিতে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>আমার<span style="font-family: "helvetica";"> </span>সবচেয়ে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>প্রিয়<span style="font-family: "helvetica";"> (</span>প্রায়<span style="font-family: "helvetica";">) </span>সব<span style="font-family: "helvetica";"> </span>এলেমেন্ট<span style="font-family: "helvetica";"> </span>ঢুকে<span style="font-family: "helvetica";"> </span>পড়েছে।<span style="font-family: "helvetica";"> </span></div>
</div>
নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-31258431622230901172019-03-06T15:37:00.000+11:002019-03-08T15:42:29.255+11:00সকাল, বাবা আর রবিগুরুর গান <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
আজকের সকালটা মনোরম। কয়েকদিনের গরমের পরে বৃষ্টি, ঠান্ডা ঠান্ডা। তারপর এলো আলোঝরা রোদ। ট্রেনে জানালার পাশে বসে মনীন্দ্র গুপ্তর ভাষাতীত অসাধারণ লেখনীতে ”অক্ষয় মালবেরি” পড়তে পড়তে নিজের ছেলেবেলার টুকরো কিছু দৃশ্য মনের গহীন থেকে উঁকিঝুঁকি দিয়ে যাচ্ছে। ট্রেন থেকে নামার পথে সাহানার গলায় নতুন এই গানটা শুনে সকাল আর ট্রেনযাত্রার ষোলকলা পূর্ণ হলো। কারণ দৃশ্যপটে এবার চলে এসেছে বাবা। আমার ছোটবেলার দাপুটে বাবা নয়, সঙ্গিহীন একলা বাবা। যে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে মৃদু আওয়াজে রবীন্দ্রসংগীত শুনছে। একটু পরেই তার হাতে উঠবে খবরের কাগজ আর চা। আমি ঘরে ঢুকতেই বাবা তার স্নিগ্ধ হাসি মুখে মেখে রোজকার মত বললেন, “সকালবেলা রবীন্দ্রসংগীত শোনার সাথে কোন কিছুর তুলনা নেই, বুঝলি মা? “<a href="https://youtu.be/ZZQw6J7NB5k" target="_blank"> কি গা’বো আমি, কি শুনাবো “</a></div>
নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-50097953927364763992016-06-04T20:22:00.000+10:002019-03-08T15:43:00.417+11:00কবিতা, আমার <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কবেকার সেই ঘাস হয়ে যাওয়া হৃদয়ে<br />
কুয়াশামগ্ন অথই জলের মতন যে ভালোবাসা,<br />
সেইখানে অকস্মাৎ ভেসে ওঠে অপূর্ব শালুক, বুনোহাঁস-<br />
কবিতা মানেই আমার কাছে জীবনানন্দ দাশ! </div>
নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-8636583747170020932015-08-23T13:12:00.002+10:002015-08-23T14:17:35.889+10:00উপলব্ধি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr" id="docs-internal-guid-512dea81-58c5-6c1c-be18-6a27fdc64333" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">কবেকার পুরনো সে বোধ</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">ক্ষণে ক্ষণে,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">নিরবে নিভৃতে,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">নিঃশব্দ চিৎকারে-</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">আজো জেগে থাকে মনের গহীনে।</span></div>
<br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">অনেক কাল কেটে গেছে তার নাম শুধায়ে।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">উত্তর আসে নি কোন।</span></div>
<br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">এখন আর উত্তরের কোন প্রত্যাশা নেই।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">আসলে,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">কোন কিছুরই কোন প্রত্যাশা নেই।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">যে জীবন চলে বাতাসের মত মৃদু-মন্দ অথবা দমকা ঝড়ো হাওয়ায়,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">তার কাছে, তাকে থামিয়ে, কিছু</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">জানতে চাওয়ারও কোন মানে নেই।</span></div>
<br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">যে বোধ কখনও ছড়ালো না ডানা,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">কইলো না কোন কথা এত আকুলতায়,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">কেবল বছরের পর বছর একই একগুয়েমিতে বড্ড গোঁয়ারের মত</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">ঘাপটি মেরে বসে রইলো সমস্ত চেতনা জুড়ে।</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">জানিয়ে দিলো,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">“আমি সত্যি, মিথ্যা তোমার নিত্য দিনের আনন্দ চেষ্টা”-</span></div>
<br /><div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">আজ দশটি বছর পরে,</span></div>
<div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;">
<span style="background-color: transparent; color: black; font-family: Arial; font-size: 14.666666666666666px; font-style: normal; font-variant: normal; font-weight: 400; text-decoration: none; vertical-align: baseline;">আমি নিজেই তার নাম দিলাম, শূণ্যতা।</span></div>
</div>
নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-70420137109358942532014-03-08T03:11:00.000+11:002014-03-08T03:11:04.627+11:00মধুবন্তীপ্লেনে ওঠার আগ মুহুর্তে ওয়েটিং রুমে বসে আছি। এরকম কখনও হয় নি, আমার সত্যিই মনে হচ্ছিলো, গতকাল আমি দেশে এসে পৌঁছালাম, আর পরের দিনই ফিরে যাচ্ছি মেলবোর্ণের উদ্দেশ্যে। তিন বোন মিলে কত বেদনাময় তবুও আনন্দের সময় একে অপরকে জড়িয়ে রইলাম। কোন ফাঁকে কেটে গেলো একটা মাস?! দেশ থেকে ফেরার পথে আমি সাধারণত খুব রিচার্জড থাকি, বাকি কয়েকটা মাস দেশের আনন্দময় সময়ের স্মৃতি মাথায় নিয়ে পার করে দিবো, তারপরে এক বছরের মধ্যে আবার দেশে, এমন মনে হয়। এবার তেমন হলো না। এবারের দেশে আসাটা যে অন্য রকম ছিলো...।<br />
<br />
একলা বসে থাকতে থাকতে চোখ ভিজে ওঠে বারবার। ঠিক তখন পাশে বসে থাকা মহিলা তার মেয়েকে ডাকেন, “ মধুবন্তী”। আমি আনমনেই বলি তাকে, “এত সুন্দর নাম রেখেছেন মেয়ের?” খুব মিষ্টি, মায়া মায়া গর্বের হাসি হাসেন সেই মা। বলেন, “ সবাই বলে। আমি না, আমার মায়ের রাখা নাম।” বলেই একটু থামেন, খুব নরম গলায় বলেন, “খুব সুন্দর মন ছিলো আমার মায়ের”। বুঝতে পারি তার মা বেঁচে নেই। সাথে সাথে তার চেহারা আর কন্ঠের কোমল কষ্ট বড্ড বেশি পরিচিত লাগে আমার। ঝট করে মুখ ঘুরিয়ে নিই আমি, তিনিও। বোধ হয় কেউ কারো চোখের জল কাউকে দেখাতে চাই না।<br />
<br />
এর মাঝে ডাক পরে প্লেনে ওঠার। হাঁটতে হাঁটতেই মনের মধ্যে নামটা গুনগুন গুনগুন করতে থাকি, “মধুবন্তী, মধুবন্তী”। আহ কি মিষ্টি, মধুময় নাম! আমার বাচ্চাকাচ্চার খবর নেই, এর মাঝে এক গাদা নাম ঠিক করে রেখেছি, সেই লিস্টে আরেকটা যোগ হলো, মধুবন্তী! তক্ষুনি মনে পড়ে আমার জানের বান্ধবীর মেয়ের নাম “ মন্ময়ী মধুরিমা”, এর মাঝে মন্ময়ী নাম রেখেছে তার ফুপু আর মধুরিমা রেখেছি আমিই। নিজের অজান্তেই হেসে ফেলি, বাহ দুই বান্ধবীর মেয়ের নামই মধুমাখা! এসব ভাবতে ভাবতেই নিজের সিটে বসে গেছি। একটু পরে প্লেন ছেড়ে দিবে তখন হঠাৎ কোথা থেকে হন্তদন্ত হয়ে মধুবন্তীর মা এসে দাঁড়ালেন আমার সামনে, “আচ্ছা আপনাকে খুব চেনা চেনা লাগছে আমার। আপনি কি তন্বীকে চেনেন?” তন্বী আমার সেই বান্ধবীর নাম যার মেয়ের নাম মধুরিমা! আমি তক্ষুনি মুহুর্তের মধ্যে আগের জানা কিছু তথ্য আর সাত-পাঁচ মিলিয়ে চিনে ফেলি এই আপুকে, ইনি মধুরিমার ফুপু! পৃথিবীর দুই প্রান্ত থেকে “মন্ময়ী” এবং “মধুরিমা” এমনি করে “মন্ময়ী মধুরিমা” হয়ে গেলো। কি ছোট্ট আর চমক লাগানো একটা পৃথিবী আমাদের, না?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br />
</div>নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com3Reservoir VIC, Australia-37.7142857 145.0078469-37.7645317 144.9271659 -37.6640397 145.0885279tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-20489909727358083962012-02-24T04:03:00.000+11:002012-02-24T04:16:23.387+11:00Hello!The Day I lost my mother, <br />
You told me something seemed to be very weired..<br />
You said, “don’t cry sweetheart, I’ll love you like your mother”<br />
<br />
People may think how a boyfriend could possibly love someone like her mom!<br />
<br />
But I believed you,<br />
Cause I knew how much you love me<br />
And I knew you can love me in every possible way.<br />
And you proved it my darling.<br />
Today I see you are my that old friend,<br />
Who became a lover day by day..<br />
and even can care for me as my mother!<br />
<br />
I feel it <br />
when you push me for something,<br />
though I hate it, <br />
(knowing I would actually love it later!)<br />
To cover that up you then do something that makes me relaxed<br />
and not to feel to be pushed!<br />
Then you silently keep doing what you needed to do...<br />
Saying nothing you then say so much my dear..<br />
<br />
I still believe you like that day,<br />
I just don’t have any idea how you do all that!<br />
And I’m a poor girl... <br />
can’t do anything... as you do,<br />
but only loving you like hell!<br />
I don’t even have a perfect word,<br />
Or at least an expression to thank you.<br />
I would rather be angry for nothing,<br />
and blame you for a lot of things,<br />
which you don’t deserve at all.<br />
But believe me,<br />
Deep in my heart, I want to thank you, my love!<br />
For being my best friend, my beloved <br />
and...my mother!<br />
<br />
Just give me one more minute.<br />
Can I tell you something?<br />
Something, which is..you know...<br />
so much cliche for being over used.<br />
You know what I mean<br />
I know what I’m gonna say<br />
So whats point of saying that<br />
....I love you!নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com6tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-22350158793727190492011-09-26T01:01:00.002+10:002012-02-24T04:16:07.654+11:00মন কেমন করে"মন কেমন করে"... এই কথাটা কেমন করে বলে গিয়েছিলো রবীন্দ্রনাথ? অনেকক্ষন ধরে শুয়ে ছিলাম, চোখ জুড়ে প্রচন্ড ঘুম। কিন্তু চোখ বন্ধ করলেই ঘুম উধাও। আর মন...সে যে আজ কেমন করছে। যখন বুঝতে পারলাম, আজ আর ঘুম আসবে না, ঠিক তখন হঠাৎ ভীষন পড়তে ইচ্ছা করতে শুরু করলো। নিজেই খানিক অবাক হলাম, গত কয়েক বছরে এরকম কিছু খুচরো সময় হাতে পেলেই ইন্টারনেটে ঢুকে পড়ি। ফেসবুক...ঘুরতে থাকি। নয়ত গুগলে ঢুকে নানান বিষয়ে সার্চ দিয়ে খোঁজখবর নেই। আর যদি ইউটিউবে ঢুকে পড়ি তাহলে তো কথাই নেই। আজ এই সব কিচ্ছু করতে ইচ্ছা করলো না। খুব গান শুনতে ইচ্ছা করছে। মোবাইল থেকেই সোজা কবীর সুমনের রবীন্দ্রসংগীত চালিয়ে দেই, "নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে ফুলবনে"। আর তখুনি হঠাৎ করেই যেন কিছু একটা ক্লিক করে উঠলো মনের মধে। শরীরজোড়া আলস্য ভেঙ্গে উঠে গিয়ে আমি অনেক আগের পড়া প্রিয় একটা বই দিয়ে এলাম পড়ব বলে, হুমায়ূন আহমেদের "দেবী", সাথে শান্তিমাখা সব রবি ঠাকুরের গান। ঠিক তার আগে ফেসবুকে দুম করে চোখ পড়তেই দেখি ইউনিভার্সিটির এক জুনিয়র বন্ধু তার ছোট বোনের সাথে একটা ছবি তুলে প্রোফাইলে পিকচার হিসেবে দিয়েছে, নিচে লিখেছে, "আমার জানবাচ্চা"- আর ওমনি কোথা থেকে রাজ্যের সব পানি এসে আমার ঘুম-চোখ ভরে ওঠে!নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com8tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-16109678070565060032011-03-22T00:49:00.002+11:002011-03-22T01:13:32.825+11:00চিরন্তনচুলে ইচ্ছামতন তেল দিলাম একটু আগে। <br /><br />এক সময় চুলে তেল দিতে এত বিরক্ত লাগতো! মামণি জোর করে ধরে চুলে তেল দিয়ে দিত, দেয়া শেষে তেলমাখা হাত কপালে আর গলায় ঘষে দিতো। আমি রাগে-বিরক্তিতে চিৎকার উঠতাম আর আম্মু বলতো, "আরে বুঝবি না, এত পড়াশুনা করিস, আরাম লাগবে দেখিস"। আমি প্রাণপণে ঘষে কপাল আর ঘাড়ের তেল তোলার চেষ্টা করতাম আর ভাবতাম, চুলে দিয়েছে দিক, কপাল-ঘাড়ের ব্যাপারটা কি?! বলা বাহুল্য, পরদিন চুলের শ্যাম্পুটাও আম্মুই করে দিতো।<br /><br /><br />এখন আর এই সবের বালাই নেই। সেই স্বার্থহীন ভালোবাসা, শত মুখঝামটা সহ্য করেও কেবল মঙ্গলই চেয়ে যাওয়া... সেই সব রূপকথার মত স্মৃতি হয়ে গেছে সব। এখন শুধু এতটা বয়সে আম্মুর সেই সব বিরক্তিকর আদর, ভালোবাসা আর যত্নের জন্য মাঝে মাঝে নিজেকে এত বেশি কাঙাল মনে হয়! একটাবার, কোনভাবে, যেকোনভাবে যদি তার কাছে যেতে পারতাম... যত দূর হোক, শুধু যদি সেটা হতো এই পৃথিবীর কোন একটা জায়গা, আমি গিয়ে তার বুকের মধ্যে লুকিয়ে থাকতাম। মাগো, কত খারাপ ব্যবহার যে করেছি, কত মুখে মুখে তর্ক, বেয়াদবী, তোমার আদরের মূল্যটুকুই দিই নি কখনও। আর ক'টা দিন সময় দিতে মা, আরেকটু বড় হতাম, আরেকটু বুঝতে শিখতাম... আর যদি জানতাম তুমি এমনি করে চলে যাবে... বড় কষ্ট মামণি বুকের ভেতরে, বড় ফাঁকা- প্রতিটা মুহুর্তে, প্রতিটা ছোট ছোট ঘটনায়, শুধুই তোমার কথা মনে পড়ে...<br /><br />আজ চুলে তেল দিয়ে কপালে আর ঘাড়েও মেখে দিয়েছি। তুমি কি দেখে একটু খুশি হলে? তোমার মেয়েটার একটুখানি আরাম হলো!নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com5tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-13497814477395843142010-08-17T02:23:00.006+10:002010-08-17T02:37:28.623+10:00গঙ্গাফড়িংশরীর খারাপ, সর্দি ভীষন, বেশ কয়েকদিন ধরেই। ভাগ্যিস, অসুখটা উইকেন্ডেই বেড়েছিলো, তাই রেস্ট নিতে পারলাম। আর আজ সিক কল দিয়ে দিলাম, টানা তিন দিনের অবসর। শরীরটা এখনও ভালো নেই। অষুধ খেয়েছিলাম, সেহেরীর আগে একটু ঘুমিয়ে নিলে ভালো হত, ঘুমটা সর্দির জন্য খুব ভালো কাজে দেয়। কিন্তু আজ কেমন যেন কি হয়েছে...তেমন অবশ্য কিছু না, ওই তো বাবার কথা খুব মনে হচ্ছে। বোকার মত বাবাকে একটা এস.এম.এস. ও দিয়ে ফেলেছি গলা ভেঙেছে বলে। আর তার সে কি টেনশান...আজ সবার সাথে ভীষন কথা বলতে ইচ্ছা করছে, তাই ধুমিয়ে এস.এম.এস. করে যাচ্ছি সবাইকে, গলাটা এরকম ভেঙ্গে না গেলে অনেক কথা বলা যেত। আর এখন খুব হাস্যকর ভাবে নিজের পুরনো লেখাগুলো পড়লাম বসে বসে। ব্লগস্পটেও যে কত ড্রাফট জমে আছে আমার! এই লেখাটাও একটা ড্রাফট হয়ে যেতে পারে শেষ মেষ কে জানে...হা হা হা।<br /><br />খুব লিখতে ইচ্ছা করছে কিছু যেন। একটা কোন গল্প। পুরনো গল্পগুলো পড়লাম, মাত্র কয়েকটাই, কিছুই হয় নি সেগুলো। তবু মায়া মায়া চোখে তাই পড়লাম। এখন যদি একটা এরকম কিছুই না-ও লিখতে পারতাম...কি যে একটা শান্তি হতো মনে।নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com5tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-85192504362097605612010-07-11T03:35:00.006+10:002010-08-17T02:36:49.736+10:00ওয়াকা ওয়াকা এ ও...রাত জেগে বিশ্বকাপের খেলাগুলোও দেখে চলছি নিয়মিত। খেলা দেখা মিস করতে আমি কিছুতেই রাজী না। আফটার অল, ইট হ্যাপেনস ওয়ান্স ইন ফোর ইয়ারস! পাড়ার মাঠের খেলা নাকি, বিশ্বকাপ বলে কথা। অবশ্য অস্ট্রেলিয়াতে খেলা দেখে বাংলাদেশের মত মজা আর কই? খেলা শুরু হবার সময় বেশ এক্সাইটেড হয়ে অফিসের সবাইকে এক এক করে জিজ্ঞেস করি, "বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া তো আছেই, আর কোন দল তুমি সাপোর্ট কর?" ব্যাটারা কিছুক্ষন বোঝেই না, চোখ কুঁচকে অবশেষে উলটা প্রশ্ন করে, "সকার"? মেজাজটা এমন খারাপ হয়, বিশ্বকাপ তো সকারেরই চলছে, ঢং! অবশ্য এদের বলে আর কি হবে? এরা ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েও ক্রিকেটে উৎসাহ নেই, আর তো ফুটবল। সারা বছর আছে শুধু ফুটির তালে।<br /><br />এখানে খেলাগুলোর টাইমিং খুব ঝামেলায় ফেলে দিয়েছে। রাত বারোটা এবং ভোড় সাড়ে চারটায় হয় খেলাগুলো। সাড়ে চারটার খেলা শেষ হয় ভোর সাড়ে ছয়টায়! কখনও এক ঘুম দিয়ে উঠে খেলা দেখি, কখনও একবারে খেলা দেখে ঘুমাই। ইনফ্যাক্ট আমি অবশ্য বেশিরভাগই টানা জেগে থাকি, যেমন আজ আছি। এমন ব্যাপার দাঁড়িয়ে গেছে, এখন খেলা না থাকলেও ঘুম আসে না রাতে। সারা রাত ধরে জেগে থাকি, পরের দিন অফিসে যাই প্রচন্ড মাথা ব্যথা আর চোখ ব্যথা নিয়ে। আজকের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটা না দেখলেও চলতো। কিন্তু আছেই আর মোটে দুইটা ম্যাচ, তারপর তো আবার চার বছর। ততদিনে তো মইরাও যাইতে পারি! <br /><br />------------------------------------------------<br />এই পর্যন্ত লিখে খেলার সময় হয়ে গিয়েছিলো সেদিন। পুরো ম্যাচ এত চমৎকার খেলেও উরুগুয়ে শেষমেশ হেরে গিয়েছিলো জার্মানীর কাছে। তবে খেলাটা দেখার মত হয়েছিলো। অন্তত ফাইনাল খেলার মত কনফিউজিং ছিলো না...কনফিউজিং এই অর্থে যে ওটা ফুটবল ছিলো নাকি রেসলিং এটা বুঝতেই প্রথমার্ধ শেষ হয়ে গেলো। স্পেনের এত সুন্দর খেলাটা নেদারল্যান্ডের খেলোয়ারদের কাছে মার খেয়ে খেয়ে তালই খুঁজে পাচ্ছিলো না যেন। দ্বিতীয়ার্ধ থেকে একটু মারামারি কমলেও থামে নি। যাক, ধারাবর্ণনায় কাজ কি? ফাইনালি স্পেন যে শেষ মুহুর্তে গোলটা দিয়ে জিততে পেরেছে এতেই আমি খুশি, শুধু এজন্য নয় যে আমি ফাইনালে স্পেনের সমর্থক ছিলাম, বরং এজন্য যে ওরা আসলেই এবারের কাপটা ডিজার্ভ করে। অবশ্য নেদারল্যান্ডও ফাইনাল ছাড়া টুর্নামেন্টের বাকি খেলায় অপরাজিতই ছিলো। আর খুব ভালো লেগেছে এই মারামারির পুরো ম্যাচে নেদারল্যান্ডের রোবেনের একার দলকে টেনে নিয়ে যাবার প্রচেষ্টা। খেলা শেষ হয়ে যাবার পরে পরাজিত দলের জন্য আমার কেন যেন বরাবরই খুব খারাপ লাগে। কতগুলো কান্নাভেজা, ভীষন হতাশ, যেন সব হারানো সারি সারি মুখ...। খেলা দেখতে এত ভালো লাগে, শুধু এই একটা ব্যাপারই কষ্টের, প্রতিটা খেলায় কাউকে না কাউকে হারতে হয়। হারতেই হয়।<br /><br />বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলো। আমার রাত জেগে থাকা এখনও বন্ধ হচ্ছে না। নিয়ম করে ভোর ছয়টা পর্যন্ত জেগে থাকি। ফুটবলীয় জেটলেগ!নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-87774670207084215232010-03-18T23:27:00.003+11:002010-03-18T23:31:22.503+11:00নিঃশব্দেসংগীর অভাব আমার হয় নি কোনদিনই -<br />এই যে দেখো<br />বইয়ের তাকে আর একটুখানি জায়গাও নেই অবশিষ্ট।<br />গানের জলসায় যাওয়া হয় না আজকাল ঠিকই,<br />তাই বলে গান শুনি না ভাবো না নিশ্চয়ই!<br />গানের বাজারজাতকরণ ব্যাপারটা মন্দ নয় কি বল?<br />যদিও ইদানিং আগের মত<br />খবরের কাগজে খুঁজি না<br />আজ কোথায় কখন কোন নাটকের শো চলছে,<br />অথবা ভালো লাগা মুভির ফেস্টিভাল।<br />কিন্তু সব আছে ডিভিডি হয়ে,<br />হাতের কাছেই অন্য সব কিছুর মতই।<br />আর আছে বিশ্বজোড়া জাল ছড়ানো এক গণকবাক্স।<br /><br />এত কিছু নিয়ে<br />কাটানোর মত সময়গুলো<br />অতিরিক্ত হয়ে যায় নি কখনই তাই আমার জন্য।<br />বুঝতে পারছো তো?<br /><br />তোমাকে আজকের ব্যস্ত বিকালটার কথাই বলি নাহয়--<br />আজ কি হলো জানো?<br />বিকাল বেলা হঠাত সে কি উত্তাল বাতাস! ঝড় !<br />আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতেই<br />ভীষণ বাতাসে আমার স্কার্টের ঝুল গোল হয়ে ফুলে উঠলো!<br />ঠিক ছোট্টবেলায় যেমন ঘরের কোনায় দাঁড়াতাম<br />ফ্যানের বাতাসে ফ্রকের ঝুল ফোলাতে!<br />আর ঠিক তখনই আমার একটুখানি, হ্যা খুব একটুখানিই<br />তোমার কথা মনে হলো...<br />ধানমন্ডি লেকে বেড়াতে গিয়ে একদিন<br />হঠাত এমনি ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম আমরা,<br />তোমার মনে পড়ে?<br />সবাই যখন ছুটোছুটি করে আশ্রয় খুঁজতে ব্যস্ত,<br />তখন তুমি আর আমি হাত ধরে লেকের পাড়ের রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে!<br />আমি সেদিন কেন যেন শাড়ি পড়েছিলাম,<br />ঝড়ো বাতাসে<br />পতপত করে উড়ছিলো আমার লাল টুকটুকে শাড়ির আঁচল...।<br /><br />এই তো, এইসব স্মৃতি রোমন্থনের ব্যস্ততায়ই<br />কেটে গেলো আমার আজকের বিকেল,<br />অন্য আর সব দিনের মতই।<br /><br />এবার বলো তো, তোমাকে ভাবার বিলাস<br />তবু কেন কাঁদাবে আমায়?<br />সময় কোথায় আমার তেমন!<br /><br />কিন্তু কি আশ্চর্য!<br />প্রতিটা দিনের শেষে কেন যেন রাত নামে।<br />নামেই,<br />রোজ।<br />আর আমার সারাদিনের নিজস্ব সংগীদের<br />ঠিক সেই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে হয়।<br />আমার ভীষন ব্যস্ততার আলগা মুখোশ<br />এক নিমেশে খসে পড়ে।<br />আমার চিতকার করে বলতে ইচ্ছা করে --<br />আমার এসব কিচ্ছু চাই না<br />কিচ্ছু না!<br /><br />আমার--<br />শুধু তোমাকে চাই!<br /><br />------------------------------------------<br />২০০৭-এর কোন এক ভোরে ভুতের প্রভাবে লেখা হয়েছিলো এই জিনিস। দিন তারিখ মনে থাকার কথা নয়, কিন্তু সামহোয়ারইন ব্লগে পোস্ট করেছিলাম বলেই জানা গেলো সময়টা ২৪মে, ভোর ৪টা ৩ ছিলো। থাকুক এখানে, নিজের ব্লগে।নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com4tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-58213508685549786722010-03-17T00:23:00.003+11:002010-03-17T00:38:57.516+11:00রেললাইনে বডি দেবো, মাথা দেবো নানাহ, অনেক হয়েছে, এইবার আমি সিদ্ধান্তে অটলঃ আগামীকাল থেকে চিনি বন্ধ।<br /><br />ব্যাপারটা এরকম মোটেই নয় যে আমি খুব মিষ্টি খেতে পছন্দ করি। বরং মিষ্টিজাতীয় যেকোন খাবারে যথেষ্ট অনীহাই রয়েছে। কিন্তু ঝামেলা বাধাচ্ছে একটা খাবার, থুড়ি পানীয়। আর কি...চা নয়ত কফি। চা-কফিতে ব্যাপক আসক্তি আমার, এবং সেটা চিনি সহ। প্রতি কাপে মিনিমাম এক চামচ চিনি খাই। তো দিনে তিন কাপ চা/কফি খেলে একদম ডিরেক্টলি তিন চামচ চিনি পেটে ঢুকে যাচ্ছে। তাইলে আর কেমনে কি? বয়স বাড়ছে, দিনে এক্সারসাইজ বলতে বাড়ি থেকে স্টেশন পর্যন্ত সতেরো মিনিট হাঁটা...আর কিছু না হলেও এই তিন চামচ করে চিনি তো শরীরে জমেই যাচ্ছে। গত আড়াই বছরে দশ কেজি ওজন কি এমনি এমনি বাড়লো? আড়াই বছর মানে ৯১২ দিন, মানে ২৭৩৭ চামচ চিনি!!! আজ রাতে যেহেতু ইতিমধ্যেই চা খেয়ে ফেলেছি, আগামীকাল থেকেই তাহলে শুরু। মরি-বাঁচি, চায়ে অন্তত চিনি খাবো না।নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com4tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-720854382684010632009-12-30T11:54:00.005+11:002009-12-30T12:45:50.299+11:00মধ্যপথে ঠেকলো গাড়ি...কুয়ালামপুরে বসে লিখছি। আমার এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না যে আমি সত্যি সত্যি দেশে যাচ্ছি! <br /><br />এরকম হয়, যে ব্যাপারগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি উতসাহ, আগ্রহ, প্রত্যাশা, অপেক্ষা বা এমন যেকোন ভালো লাগা বা কষ্টের অতি মানবীয় আবেগ জড়িয়ে থাকে, সেই ব্যাপারগুলো চোখের সামনে চলে এলে আমি ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারি না। এয়ারপোর্টে তারুকে ফেলে যখন ইমিগ্রেশান পার হচ্ছিলাম, তখন আবার এটাও বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে আমি সত্যি একা যাচ্ছি। তারুর সাথে যেকোন কিছু শেয়ার করে নিতে ভালো লাগে। নিশ্চিন্ত লাগে। আজ প্লেনে মোবাইল ফোনটা সুইচ অফ করবার পরেও কতবার যে কত কারনে ওকে কল করতে ইচ্ছা করেছে...। জানা কিছু ব্যাপার, তবু কথা বলে মিলিয়ে নিতে ভালো লাগে। মানুষ আজব ভীষণ। একই সাথে ভালো লাগা আর কষ্টের মিশেল দিয়ে কি যেন আজব এক আজব অনুভূতি হয়। এতদিন পরে দেশে যাচ্ছি সেই আনন্দ, আবার সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে ছেড়ে দশটা দিন আলাদা থাকাটাও অনেক কষ্টের। এই মানুষটার কাছে থাকবার জন্যই তো দেশ আর বাবা, আপু, বন্ধুদের ছেড়ে আসা! <br /><br />কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে এই প্রথম এলাম। অনেক গরম বাইরে। নেমেই একটা মজার ব্যাপার হলো, দু'টো বাংলাদেশি ছেলে, এখানেই থাকে বোধ করি, আমাকে নিয়ে ছোটখাট একটা গবেষণা চালালো। একজন নিশ্চিত, আমি বাংলাদেশি, দেখে নাকি মনে হয় বাংলাদেশি মেয়ে না হয়ে যায়ই না। আরেকজনের দ্বিধা আছে। ফাইনালি তারা এইসব কথা আমার পাশ দিয়ে যেতে যেতে বাংলায়ই বললো, আমি কিছু বুঝি নাই ভাব করে থাকি, কি দরকার বেচারা স্বদেশী ভাইদের বিব্রত করে। একটা ব্যাপার ইন্টারেস্টিং লাগে, বাংলাদেশি, ভারতীয়দের অন্য দেশের মানুষেরা গড়পরতা ভারতীয়ই মনে করে, কিন্তু কোথাও একটা অন্যরকম তো আছেই। আমরা কেমন করে বুঝে যাই, কে বাংলাদেশের আর কে ভারতের!<br /><br />নেমেই ভাবলাম, একটু নাস্তা করে কফি খাই। এক্সপেরিমেন্টের ঝামেলায় না গিয়ে ম্যাকডোনাল্ডসেই ঢুকে গেলাম। কিন্তু যেই কফি খাওয়ার উদ্দেশ্যে গেলাম তাই নেই। মানে আছে, কিন্তু কেবলই ব্ল্যাক কফি। ক্যাপুচিনো, লাটে--এইসব কিছু নেই। আমার ব্ল্যাক কফি একেবারেই চলে না। চা-কফির মধ্যে অনেক দুধ থাকবে, আর সেই সাথে গাঢ় লিকার, এবং খানিক চিনি- এই হলো আমার আদর্শ চা-কফি। সেই বিচারে লাটে খুব প্রিয়, ইদানিং ক্যাপুচিনোও ভালো লাগে। কাজেই কেবল পানিই নিলাম। আজ প্লেনে পড়ছিলাম এয়ার ট্রাভেলিং-এর সময় পিউর পানি আর জুস ছাড়া অন্য যেকোন ড্রিংক্স না নেয়াই উচিত, ওগুলো আরো শুষ্ক করে দেয় শরীর, উচ্চতায় তো এমনিতেই শুষ্ক থাকে। তো অর্ডার করে অস্ট্রেলিয়ান ডলারে পে করতে পারলাম ঠিকই কিন্তু চেঞ্জটা দিলো মালয়েশিয়ান রিংগিটে! ৮.৪৫ রিংগিট হয়েছিলো বিল, আমি দিলাম ৫০ ডলার, আর ফেরত পেলাম ১২৫.৫৫ রিংগিট। খুচরা পয়সাগুলো দেখেও মজা লাগছে। কিছুমিছু কেনা যেতো, কিন্তু লাগেজ তো অলরেডি ফুল...।<br /><br />এখন যে নেট সার্ফিং করছি সেটা কে.এল. এয়ারপোর্টের ফ্রি সার্ভিস। দুই ঘন্টার জন্য ফ্রি। কানেক্ট করার আগে এই রকম হুমকি দেখেই করলাম যে, এটা সিকিউরড নয়, যে কেউ দেখতে পারবে। কিন্তু আসলে কিছু হবে না মনে হয়। বসে বাংলা লিখছি, কেউ বুঝলে তো! অবশ্য ক'দিন ধরে জিমেইল, ফেসবুকে কেউ আমার একাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করছে, ইমেইল আসে, আমি নাকি নতুন ইমেইল সেট করতে চেয়েছি বা ইনফর্মেশান বদলাতে চেয়েছি। কোন ফাজিল যে এই কাজগুলো করে?<br /><br />একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছে, কফিটা খেতে পারলে খুব ভালো হতো। মালয়েশিয়ান সময়ে সাড়ে নয়টা বাজে মাত্র। আমার ঢাকার ফ্লাইট আরো সাড়ে চার ঘন্টা পরে, কেমনে যে পার করি। বই আছে একটা সঙ্গে, মাহমুদুল হকের "প্রতিদিন একটি রুমাল", পড়ি। আচ্ছা আমি কি সত্যি দেশে যাচ্ছি? আজকে সত্যি বাবার সাথে দেখা হবে? একে একে সবার সাথে? আর আমার দেশটার সাথেও? এখনও মাথায় ঢুকছে না। গতকাল এক বড় ভাই উপদেশ দিয়েছেন, খুব সাবধানে থাকবেন, বাংলাদেশ এমন এক উইয়ার্ড দেশ, সব ঘটা সম্ভব। হায়, সেই উইয়ার্ড দেশটাকে দেখবার জন্যই তবু মন কেমন করে..."প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যপ্রাতে/ প্রতিদিন তোমার কথা হৃদয়ে জাগে/ ও আমার দেশ/ ও আমার বাংলাদেশ"।<br /><br />আর এই দশটা দিন.........পার করে দিস তারু, ভালো থাকিস, প্লিজ। আর তাড়াতাড়ি চলে আয়। তোকে ছাড়া কোন আনন্দই পরিপূর্ন হয় না যে আমার...।নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-68238902894556591582009-11-28T03:24:00.005+11:002009-11-28T03:46:59.401+11:00আমি গাই ঘরে ফেরার গান...ঈদে আমার রান্নাবান্নার ফিরিস্তি শুনে বাবা খুব চিন্তায় পড়েছে, ভাবছে আমার ছোট্ট মেয়েটা কি বেশি গিন্নী গিন্নী হয়ে গেলো? এবার যখন দেশে আসবে তখন সেই আদরের মেয়েটাকে পাবো না? আমার খুব আনন্দ লাগে, আমার চোখে পানি চলে আসে...। এই সেই মানুষ, যে বয়সের হিসাব দিয়ে আমাকে পরিপক্ক হয়ে যেতে দেখতে চায় না। আমার কাছে জাগতিক লাভ-লোকসানের কোন চাহিদা নেই তো তার, আছে কেবল অসীম মমতা। ভালোবাসা-মমতায় সেইসব হিসাব কি চলে? কিন্তু বাবা, এখানে, তোমার থেকে এত দূরে, অচেনা সব আবছায়া মানুষদের ভীড়ে বড় তো আমাকে হতেই হয়, অন্তত অভিনয়, নইলে যে কেবল অভিযোগ! <br /><br />অনেক হলো বাবা, আবার ক'টা দিন, অন্তত সামান্য ক'টা দিন তোমার কাছে এসে আবার আগের আমি হতে চাই, যেখানে সমস্ত আবদার কেবল আমিই করব, ইচ্ছেমত যত খুশি যন্ত্রণা করব তোমাকে...। সেইসব যন্ত্রণা ঈশ্বরের উপহার ভেবে বুকে জড়াবে তুমি, জানি আমি। তাই তো বলছো আজীবন, তেমন করেই আগলে রেখেছিলে...অনেক অপেক্ষার পরও মা'র বুকে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি নি আমি, কখনও পারবোও না। তোমার গলা জড়িয়ে আবার একটু কাঁদতে চাই বাবা, একটু হাসতে চাই... আসছি বাবা, আর মাত্র ক'টা দিন।নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-17235104144037569042009-11-15T01:13:00.003+11:002009-11-15T01:29:21.531+11:00নেটবুক নিয়ে মহা খুশিইদানিং ছুটির দিনগুলো বেশ মজা করে কাটছে...ছুটির মত করেই। সকালে ইচ্ছামত অনেক ঘুমানো হচ্ছে, আবার তারপরে অনেক ঘুরাঘুরিও হচ্ছে, প্রায় চর্কিবাজি। সামনে দেশে যাবো ইনশাল্লাহ, সেই সূত্র ধরে টুকটাক শপিং-ও চলছে। আজকেও খানিকটা তাই। হালকা পাতলা কেনাকাটা করলেও করতে পারি এরকম ভাব নিয়ে বেরিয়েছিলাম। কেমনে কেমনে যেন ফাটাফাটি সেল পেয়ে একটা দারুন জিনিস কিনে ফেললাম, একদম আনপ্ল্যান্ড! একটা পুচকি সাইজের নেটবুক। ল্যাপটপ বা নোটবুকের খালাতো ভাই বলা যায়। ১০ ইঞ্চি স্ক্রীন, পুরা ব্যাপারটাই কিউট লাগে আমার। খুব খুশি লাগছে। পুচকিটাকে পেটের ওপর ফেলে রাত-দুপুরে টাইপিং করতেও খুব মজা লাগছে। আজকে, আবার অনেক দিন পরে ব্লগস্পটে ঢুঁ মারলাম ওরই অনারে। থ্যাঙ্ক ইউ মাই নিউ মেট। :-)নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-77433086424509511872009-08-14T22:09:00.000+10:002009-08-15T01:11:23.059+10:00বলিও আমার পরদেশীরেটুক টুক করে যেতে যেতে তারপর বেশ ঘট ঘট করেই চলে যায়- সময়। এটা সেটা ভাবি, সেইসব জঞ্জাল নিয়ে লিখব বলেও ভাবি, লিখা হয় ওঠে না। কতটা সময় গিয়েছে মাঝে? উত্তর জানতে কষ্ট করে পেছনে তাকাতে হলো না, ডানে "সাম্প্রতিক লেখা" তে একটা ক্লিক করেই জানা গেলো, শেষটা ছিলো গত নভেম্বরে! খুব টান পড়েছে সূতোয়, একটু আলগা করার চেষ্টা করেই দেখি না।<br /><br />কিন্তু অনেক দিনের বিচ্ছিন্নতায় কেমন আড়ষ্টতা পেয়ে বসছে। এখন কি এসব লিখতে পারবো? এই রোজকার আটপৌরে জীবন নিয়ে? ও তো সবাই পার করে, রোজ। তবু লিখব আজ, কিছু একটা, ভীষন এলোমেলো করেই নাহয়। আজ আবার সচল হবো।<br />লিখবো কেমন পাখির মত উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছি... "তোমরা রেকর্ড করে ফেলেছো, গত আট মাসে তিনটা ভিন্ন বাসায় থাকছো!"। আমি হাসি। "পরের জায়গা পরের জমি, ঘর বানাইয়া আমি রই/ আমি তো ভাই জমির মালিক নই"। এই ভিন দেশ, তার আবার বাড়িঘর, ভাবি "একখানে থাকলেই হইলো"। উহু, তাও কেমন যেন নির্লজ্জের মত মায়া পড়ে যায়, মানুষ হবার জ্বালা। এসব কি কেউ লিখে?<br /><br />[গাড়ি খানিক চলছে বোধ হয়, অনেক দিন পরে তেল পড়ে লাফাচ্ছে, কখন দড়াম করে হোচট খায় তাই ভাবছি!]<br /><br />অফিস যাবার রাস্তাটা বদলেছে। এখন বাড়ির সামনেই বাস নয় বরং বেশ খানিকটা তাড়াহুড়া করে হেঁটে গিয়ে ট্রেন ধরি...লাগবে ঠিক ষোল থেকে সতের মিনিট, এতটা রাস্তায় একদম একা নাই বা থাকি, একটু গান থাক সংগে। আগের রাতে পিসি থেকে গনহারে বেশ কিছু গান নিয়েছি মোবাইলে, All Songs ছেড়ে দিই। স্ক্রিণে তাকিয়ে দেখি আশা ভোঁশলে গাইবেন, "সন্ধ্যাবেলা তুমি আমি বসে আছি দুজনে/ তুমি বলবে আমি শুনব"। খুশি হই, কিন্তু একি, কেউ একজন গলাকে যথাসম্ভব মোটা-চিকন করে শুরু করে, "DJ...you say I just listen to you...o babe"!! হেসে ফেলি। কিসের মধ্যে কি, পান্তা ভাতে ঘি! পরের গানে খালিদ গেয়ে যান "যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে এ হৃদয়ে সে কিছু নয়"...চলুক। এইসব হাবিজাবি হলেও আজ লিখব।<br /><br />ট্রেনে উঠে হেডফোন নামিয়ে রেখে বই খুলে বসি। ইদানিং ট্রেনে চড়ার সুবাদে পড়ছি আবার। শুরু করেছিলাম শাহাদুজ্জামানের "গল্প, অগল্প, না-গল্প সংগ্রহ"। বইয়ের প্রথম সংগ্রহ "কয়েকটি বিহবল গল্প" ভালো লাগে নি তেমন। লেখার ধরনটা ইউনিক, কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু নতুন হলেই যে খুব ভালো লাগবে এমন কথা নেই। এই লেখাগুলো প্রসংগে প্রকাশকের একটা কথা যুতসই মনে হয়ঃ "তার কোন কোন লেখাকে অবশ্য প্রচলিত অর্থে গল্প বলা দুষ্কর। সেখানে বরং গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ তাদের পরস্পরের দেয়াল ভেঙে মিলিত হয়েছে।" এমনটাই মনে হয় আমারও। সেই অর্থে ভালোই লাগে, গল্প হিসেবে নয়। বরং কেমন একটা "ব্লগর ব্লগর"-এর আমেজ আছে যেন। কিন্তু খুব ভালো লাগে পরের বইটি, "পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ"। এই দু'টো বইতে লেখকের লেখনীতে যেন বেশ খানিকটা পরিবর্তন এসেছে, অনেক পরিপক্কতাও। শেষের বইটির প্রায় সবকটি গল্প আমার ভালো লাগে। বিশের করে গ্রামীণ পটভূমির কিছু বর্ণনা, অনুষঙ্গ দারুণ লাগে পড়তে। যেমন "ইব্রাহিম বক্সের সার্কাস", "নিজকলমোহনায় ক্লারা লিন্ডেন"। আবার "আন্না কারেনিনার জনৈক পাঠিকা" পড়ে মনে হয় একদম দারুন একটি ব্লগর ব্লগর, গল্প নয়! পরবর্তি সংগ্রহ "ঃতে দুঃখ" আপাতত না পড়ে আমি চলে যাই উপন্যাস "ক্রাচের কর্ণেল"-এ, চলছে।<br /><br />এই বই পড়তে পড়তে, ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ দেখি পাশের সারির পাগড়ি পরা বয়স্ক এক লোক আমার দিকে মাঝে মাঝে যেন তাকাচ্ছে। আমি তাকাতে চোখে চোখ পড়তেই বলে ফেললো, "সিটি কিতনা দূর হ্যায়?" এই জাতীয় কিছু একটা। আমি হিন্দি বুঝেছি কিন্তু বলা সম্ভব না। ইংরেজিতেই উত্তর দিলাম। ভাইজান খুবই প্রসন্ন হাসি হেসে এবার ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে সুধান যে আমি ইন্ডিয়ার কোন অঞ্চল থেকে এসেছি। অতঃপর গর্বিত বাংলাদেশী বাঙালী আমি তাকে পরিচয় জানাই। তুমুল উৎসাহে সে এবার তার সারি থেকে আমার সারিতে ঠিক আমার মুখোমুখি এসে বসে। বহুকষ্টে ইংরেজি বলার চেষ্টা করা দেখে আমি তাকে হিন্দি বলতে সায় দিই, জানাই আমি হিন্দি না বললেও মোটামুটি বুঝি। কি যে খুশি তখন তার। বলে, "আমার তো পাঞ্জাবী মিশানো হিন্দি। যাক, নিজের দেশের না হোক, তাও তুমি প্রতিবেশি দেশের। তাও তো আমার কথা বোঝ। জানো, আমি ইন্ডিয়াতে গানের শিক্ষক ছিলাম, আমার অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে দেশে। এখানে এসেছিলাম এক বন্ধুর কাছে, ছয় মাস হলো..."। ইন্ডিয়ান ক্লাসিকের প্রতি আমার বেশ অনুরাগ। গানের শিক্ষকের সাথে কথা বলছি জেনে ভালো লাগে। ভদ্রলোকের চেহারার মধ্যেই গানপাগল একটা ভাব আছে। তাকে আরো সহজ হতে জানালাম যে আমিও গান করি। জানতাম, এবার তার সরল হাসিটা আরো বিস্তৃত হবে। খুব অনুরোধ করতে লাগলেন যেন আমার "বাঙাল ভাষায়" একটা গান তাকে শোনাই। আমি হেসেই শেষ, তাকে গাইতে বলতেও ভুলে গেছি। তাতে কি ততোধিক সরলতায় ওস্তাদজি নিজেই বলেন, "ঠিক আছে, তুমি তো শোনালে না, আমি শোনাই"...সঙ্গে সঙ্গে ধরলেন একটা রাগ...ততক্ষনে স্টেশন প্রায় চলে এসেছে। কিন্তু গান শুনে আমি হতবাক। যেন পানির কলটা খুলে দেয়া হয়েছে, এমনি কলকল করে চলতে শুরু করলো তার কন্ঠ। হাত নেড়ে, মুখে পূর্ণ অভিব্যক্তি এনে ওস্তাদজি গেয়ে চললেন, কন্ঠ খাদ থেকে চড়ায়, চড়া থেকে আবার খাদে ওঠানামা করছে সাংঘাতিক মসৃণভাবে...আমি মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকি। ঠিক সেই সময়েই আমাদের স্টেশন চলে আসে...গান থামিয়ে আবেগে সে আমার হাত ধরে বলে..."তুমি খুব ভালো, আবার দেখা হবে হয়ত কোনদিন, সেদিন তোমার গান শুনবই"।<br /><br />ট্রেন থেকে নেমে মুগ্ধতার রেশ কাটতে সময় লাগে আমার। আহারে, নিজস্ব গানের ভুবন ছেড়ে এই মানুষটা কোথায় এসে পড়েছে এখনও বোধহয় বুঝতে পারছে না। কেউ কি বুঝবে তার এই ক্লাসিকের মূল্য?<br />কদিন ধরে একটা গান তোলার চেষ্টা করছিলাম গলায়, সেটাই আবার চালিয়ে দেই কানে,<br />"পরদেশী মেঘ যাওরে বলে<br />বলিও আমার পরদেশীরে..."।।নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-60535265421319068902009-06-15T12:44:00.003+10:002009-06-15T13:34:25.927+10:00বরষার প্রথম দিনে...মাথার ভেতর একগাদা গান ঘিড়িং পিড়িং করে ঘুরছে। একবার গেয়ে ফেলছি "আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে দুয়ার কাঁপে/ ক্ষনে ক্ষনে ঘরের বাঁধন যায়, যায় বুঝি আজ টুটে"। তারপরেই মনে হলো, আরে না আজ তো শ্রাবণ নয়, আষাঢ়- পহেলা আষাঢ়। এরপরে লতা মুঙেশকরের "আষাঢ় শ্রাবণ মানে না তো মন"। আছে হুমায়ূন আহমেদের "বরষার প্রথম দিনে/ ঘনকালো মেঘ দেখে/ আনন্দে যদি কাঁপে তোমার হৃদয়/ সেদিন তাহার সাথে কর পরিচয়/ কাছাকাছি থেকেও যে কভু কাছে নয়"। হুম, আজ বরষার প্রথম দিন। আজ আর তেমন কিছু নয়। কিন্তু তবু আজ আমার কাজে যেতে ইচ্ছা করছে না...ঠিক কি ইচ্ছা করছে তাও অবশ্য বুঝতে পারছি না। ভালো একটা কিছু কাজ করা যায়? রোজ তো সেই একই শুরু হয়েছে ক'দিন ধরে, রাতে ঘুমুতে যাবার আগে ইন্টারনেটে বাসা খোঁজা, কবে কোনটার ইন্সপেকশান মার্ক করে রাখা, সকালে উঠে এপ্লিকেশন রেডি কর, দৌড়াও সেইটা নিয়ে...এইসব হাবিজাবি...নট ব্যাড, নট দ্যাট ব্যাড। আজকেও তো তাই...এখন কি কাজের কাজ করব কিছু? অগোছালো রান্নাঘর গুছাবো? উহু পারবো না, ইচ্ছাই করছে না। ভ্যাকুয়াম ক্লিনারটা বের করে এলাম, কিন্তু এসে আবার হাবিজাবি লিখতে বসলাম...দেড়টা বেজে গেলো, আর তো লিখাও হবে না...দৌড়ুতে হবে আবার...আজ কি বাসে যেতে যেতে নতুন কোন গান শুনব? হুম, এই কাজটা করা যায় বোধ হয়...আচ্ছা, কাজ থেকে ফিরে কি করব? কিছু কি করব? আচ্ছা আজ না একটু সাজুগুজু করতে চেয়েছিলাম...অন্তত একটু চোখে কাজল? আচ্ছা দেখা যাক...আমি কি কাউকে থ্যাংক্স বলব? বাবা, আম্মুকে? আই শুড, বিকজ অব দেম আই এম ইন দিস ওয়ার্ল্ড...এন্ড তারু, ফর হুম, আই এক্সিস্ট...মাথা এলোমেলো থাকলে ইদানিং এই বিচ্ছিরি ভাষাটা বেরোয় নাকি আমার? কি বাজে ব্যাপার...নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com6tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-92081641564476471832009-01-25T09:22:00.004+11:002009-01-26T18:21:33.829+11:00চা - নাস্তা বিষয়ক গপসপএকটা রুটি, এক কাপ চা। এই ছিলো আমার আমার নিয়মিত সকালের নাস্তা। রুটি আমার এত প্রিয় ছিলো যে বাবা-মা আমাকে বলতো বিহারী মেয়ে। আজ অনেক দিন পরে এই মেন্যুতে সকালের নাস্তা হলো। দেশে থাকতে ভীষন স্বাস্থ্য-সচেতন ছিলাম, হালকা খেতে হবে, মোটা হওয়া যাবে না। ভাত ভালো লাগতো না মোটেই, শুধু দুপুরে অল্প একটু ভাত সাথে প্রচুর শশার সালাদ, আর সকালে এবং রাতে একটা করে রুটি, সাথে সবজি, ডিম পোচ বা অন্য কিছু। অবশ্য খানিক গুলিয়ে ফেলছি বোধ করি, কারন এই রুটিন একেবারে ছোটবেলার এবং দেশে থাকার শেষ দু'বছরের, যখন বাবা ঢাকায় বদলি হয়ে এলেন। মাঝে ইউনিভার্সিটির হলে ছিলাম যখন, তখন তো খাবারের কোন ঠিক ছিলো, যখন যা পাই তাই খাই অবস্থা। সকালে নাস্তাই হতো না, ক্লাসের ফাঁকে দুম করে গিয়ে হয়তো একটা সিঙারা খেতাম, তাও সিঙারার ভেতরের সব আলু ফেলে বাহিরের খোলস। মাঝে মাঝে একটা মজা হতো, কেউ কেউ সিঙারার আলু বেশি পছন্দ করতো বাইরের ময়দার খোলসের চাইতে, তাদের সাথে আমার এই খোলস এবং আলু বিনিময়। <br />-ওই তুই আলু ফালাস ক্যান, আমারে দে।<br />-আচ্ছা, তাইলে তুই আমারে সিঙারার কোনার দিকের শক্ত অংশটা দে।<br />ভালো বিনিময় প্রথা।<br /><br />রানীর কথা মনে পড়ে খুব, বিশেষ করে যখন চা খেতে ইচ্ছা হয়। ভীষন চা-কফির ভক্ত আমি। স্কুলে থাকতে দিনে কমপক্ষে পাঁচবার চা খেতাম, আম্মুই করে দিতো। আহারে মেয়ে রাতদিন লেখাপড়া করে, এই আদরে। ইউনিভার্সিটিতে চা খাওয়ার ব্যাপারটা আমার জন্য সবচেয়ে সহজ হয়ে গেলো। চাইলেই ক্যান্টিন থেকে চা পাওয়া যায়, খেতে জঘন্য এই যা সমস্যা! সেটা কোন বড় ব্যাপার নয় মোটেই, পোলাপানের সাথে আড্ডা মারতে মারতে যেকোন চা-ই অনায়াসে খেয়ে ফেলা যায়। বন্ধুদের মধ্যে যারা মেয়ে তারা অধিকাংশই আমার এরকম চা-প্রীতিতে আপত্তি জানাতো, চা খেলে নাকি স্কিন সুন্দর থাকে না, কালোও হয়ে যায়! আমি এমনিতেই ফর্সা নই, আরেকটু ডার্কার হতেও আমার মোটেও আপত্তি নেই। আর এই কারনে চা খাওয়া কমাবো? কাভি নেহি! সুতরাং অবিরাম সারাদিন চলতো। সন্ধ্যায় একটু স্পেশাল চা খেতে মন চাইতো, হলের ভেতরে আমার প্রাণের দোস্ত রুমা অসম্ভব ভালো চা বানানক। সে আবার মহা পড়ুয়া, তারে সিস্টেম করে রিডিং রুম থেকে বের করে কিছুক্ষন গল্প-গান-হাঁটাহাঁটি করে তার হাতের অসাধারণ চা খেতাম। আমার চা-কফির ন্যাক সম্পর্কে রুমার বক্তব্য ছিলো, আমাকে একটা কাপ হাতে এক পুকুর চা বা কফির মধে ডুবিয়ে রাখলে নাকি আমি সবচেয়ে খুশি হতাম, মাঝে মাঝে হাত বাড়িয়ে পুকুর থেকে চা-কফি খেতাম! আহা, তার চিন্তার ক্রিয়েটিভিটিতে আমি মুগ্ধ।<br /><br />আর বাসায় ছিলো আমাদের সার্বক্ষনিক হেল্পিং হ্যান্ড রানী। এই মেয়ে আমার চেয়ে কমসে কম দশ বছরের ছোট, অথচ কি যে আদর করত আমাকে, আমিও কি ওকে কম আদর করতাম। যাই হোক, সে বড়ই মিষ্টি করে বলতো, "ছোট আপু চা খাবেন?" (তার কথার ভাষা অত্যন্ত শুদ্ধ)। আমার ঠোঁট বিস্তৃত হয়ে যেতো খুশিতে। রানী অবশ্য বিরাট ফাঁকিবাজ ছিলো, সে অনেক কাজই করতো, অধিকাংশই ফাঁকিবাজির সহিত। সুতরাং তাকে বিশেষভাবে বলে দিতে হতো, "একটু বেশি মজা করে বানাস", তাহলেই কেবল চা-টা মজা হতো, নইলে মাশাল্লাহ ক্যান্টিনের চায়ের সাথে খুব একটা পার্থক্য হতো না। আমার ওতে অভ্যাস ছিলো এই হলো সুবিধা। সুবিধা আরো আছে, যখন তখন চাইলেই এবং না চাইতেই এই যে চা চলে আসত এজন্য আমি রানীর কাছে কি যে কৃতজ্ঞ! <br /><br />আহারে, এখন আর কেউ চা বানিয়ে দেয় না। দোস্ত রুমাও নাই, বাসার রানীও নাই। একটা দোস্তজামাই আছে, আমিই তারে চা বানাইয়া খাওয়াই। অবশ্য সেটাও এক রকম জোর করে। সে চা-কফির মোটেই ভক্ত নয়। অবাক হয়ে কেন জিজ্ঞাসা করলে সে বেশ গম্ভীর গলায় জবাব দেয়, "জীবন থেকে জটিলতা কমাই"! এই ডায়ালগ দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে সে বেশ বিখ্যাত হয়ে গেছে, আমার বাবাকে এরপরে যেকোন কিছু নিয়ে অভিযোগ করলেই বাবা সহাস্যে উত্তর দিতো, "জীবন থেকে জটিলতা কমাই"। সুতরাং বাসায় চা খাবার কোন সংগী নেই, আমার একার জন্য বানিয়ে খেতে আরো নিরুৎসাহ লাগে। সম্ভবত এইটা বুঝেই সে আমার সাথে টুকটাক চা খেতে শুরু করলো। ইদানিং ভালোই ভক্ত হয়েছে চায়ের, সন্ধ্যাবেলা অন্তত এক কাপ হয়ে যায়। আহারে বেচারা, বিয়ে করে জীবনের জটিলতা বেড়ে গেলো!<br /><br />ফুটনোটঃ দেশে ছেড়ে আসার পরে বেশি বেশি দেশী হয়ে গিয়েছি আমি। খাদকও হয়েছি। এখন রুটি খাওয়া হয় না। খালি ভাত খাই। এবং বিরিয়ানী রাঁধতে শিখে বিরাট ঝামেলা হয়েছে, ওইটাও খাওয়া হয় নিয়মিত বিরতিতে। আগে অনেক প্রিয় হওয়া সত্তেও আইসক্রিম-চকলেট খেতাম না, এখন গপাগপ চকলেট খাই। নতুন করে যোগ হয়েছে চিজময় পিৎজা খাওয়া। আর মাঝে মাঝেই বিরিয়ানী। মাঝের থেকে আমার এত সাধের চা খাওয়া কমে গেছে, নিজের বানিয়ে খেতে হবে সেই আলস্যতে। কেমন যেন সব 69 হয়ে গেছে। অবশ্য এইবার বেশ একটা মুডে আছি। খানিক পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। বাড়ি বদলে গেলো, নতুন বাড়িটা পছন্দ হয়েছে খুব। নিজের নয় তো কি, যতদিন আছি নিজের ভাবতে সমস্যা কি? এবার থেকে আবার রুটি খাবো, চা খাবো। বিরিয়ানী খুব কম হবে। নো চকলেট (মাঝে মাঝে কেবল ফেরেরো রোশার)। আর মাঝে মাঝে একটু পিৎজা না খেলে মনের দুঃখে অসুস্থ হয়ে যাবো, ওইটাও চলবে। আর বাকি সব কন্ট্রোল। বয়স বেড়ে যাচ্ছে, নতুন করে স্বাস্থ্য-সচেতন না হয়ে উপায় কি?নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com9tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-37503003453675376432009-01-11T13:46:00.004+11:002009-01-11T14:18:25.605+11:00পুনর্বচনমাত্র সচলায়তনে অরূপ'দার <a href="http://www.sachalayatan.com/arup/21042">"প্ল্যানেট আর্থ"</a> পোস্টটা পড়লাম। সংগে থাকা ক্লিপিং-গুলো দেখলাম। প্রকৃতির কি অপার বিস্ময়!<br /><br />...অরূপ'দা বলেছেন আপনার বাবা-মায়ের সাথে বসে এই ডকুমেন্টারীটা দেখার কথা। আমারও ওমনি মনে হলো, আমার বাবা-মায়ের সাথে বসে আমি এটা দেখতে পারতাম। ওরা দুজনেই খুব প্রকৃতি পছন্দ করে। বিশেষ করে আমার মা। ফুল দেখলে পাগল হয়ে যেতো। আর সারাদিন ন্যাশনাল জিউগ্রাফি চ্যানেল খুলে বসে থাকতো। একটা সময় আমাদের বাসায় স্যাটেলাইট চ্যানেল ছিলো না, "একুশে টিভি"তে সপ্তাহে একবার নাকি প্রতিদিন সন্ধ্যায় এরকম কোন একটা অনুষ্ঠান থাকতো, তাই দেখতো মুগ্ধ হয়ে। স্যাটেলাইট চ্যানেল আসার পরে মামণি কোনদিন হিন্দী সিরিয়াল দেখে নি। বাংলা অনুষ্ঠান দেখতো, নাটক-সিনেমা। আমরা মাঝে মাঝে অনুবাদ করে দিয়ে কিছু হিন্দী সিনেমা দেখিয়েছি, অপছন্দ করতো না। কিন্তু তার যত বিশেষ আগ্রহ ছিলো এই ফুল-পাখি-হরিণ-চিতাবাঘ-গহীন অরণ্য-অতল সুমদ্রের বুকে নাম না জানা অসংখ্য প্রাণীর প্রতি। আহারে, কি খুশি হতো যেন এই "প্ল্যানেট আর্থ" দেখে। এখন প্রতিটা মুহুর্ত দেখবো আর মা'র কথা মনে হবে। কি বিস্ময় আর আনন্দ ফুটে উঠতো তার মুখে!<br /><br />আরো কত কথা ডুকরে উঠে বুকের মধ্যে। সব বলা যায় না, সব লেখা যায় না... প্রতিটা মুহুর্তে যাই দেখি, যাই করি, ভাবি মামণি তো দেখলো না, জানলো না...কি লাভ?<br /><br />পুনশ্চঃ এইটুকু লিখেই হঠাৎ মনে পড়লো, আজ ১১ই জানুয়ারী। বাবা-মায়ের ৩৭তম বিয়েবার্ষিকী। তিন বছর হয়ে গেলো, এই দিনে কেউ আমাদের বাসায় লাজুক মুখে পোলাউ রেঁধে মেয়েদের খেতে ডাকে না...মা নতুন শাড়ী আর বাবা নতুন শার্ট পড়ে, একটু বাইরে থেকে আসি বলে স্টুডিওতে গিয়ে একটা নতুন ছবি তুলে আসে না...। তবু এই দিনটাকে আমরা তিনটা বোন এখনও স্মরণ করি। এই দিনে এই দু'টো অসাধারণ মানুষ এক হয়েছিলো বলেই আমরা পৃথিবীর আলো দেখেছিলাম। মামণি এবং বাবা, জীবন আর মৃত্যুর বিশাল দূরত্ব মাঝে রেখে, দু'টো ভিন্ন অবস্থান থেকে তোমরা দু'জন ভালো থাকো।নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-70053615245266489212009-01-01T23:48:00.003+11:002009-01-02T00:52:51.132+11:00আজ শুধু নতুনএরকম ধুরুম ধারুম করে যে কেমন একটা বছরই চলে গেলো টের পেলাম এই ৩১ ডিসেম্বরে এসে! ভাগ্যিস, এমন করেই কেটেছে। আজ নতুন বছর ২০০৯-এর প্রথম একটা দিন পার করে ভাবছি, কেমন কাটতে পারে এই বছরটা? নতুন বছরের রেজ্যুলেশন বলতে যদি এবার কিছু থেকে থাকে, তার শুরুতেই আছে...আর কি? দেশে যেতে চাই। শুধু চাই বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলা নয়, এবার সম্ভাবনার শতকরাও বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। তাই কেবল অপেক্ষা সেটা সত্যি হবার, আর প্রার্থনা।<br /><br />আজ একটা মজার কথা মনে হলো, ছোটবেলার অনেক কুসংস্কারের মধ্যে এটা একটা। নতুন বছরের প্রথম দিনটা নাকি সারা বছরের একটা সারাংশ। সুতরাং এই দিনটায় সব ভালো ভালো কিছু করার চেষ্টা করতে হবে, নইলে বছরের বাকি দিনগুলোও যে তেমনই যাবে! সেই বিশ্বাসটা এখন আর নেই ছোটবেলার মত, কিন্তু একটু হলেও মনের মধ্যে উঁকি দেয়, খানিক হাসিমিশ্রিত হলেও। আজ অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারলাম না গত বছরের ১ জানুয়ারী আমি কি কি করেছিলাম! তাই দুম করেই ঠিক করলাম, আজ কি কি করেছি তা লিখে রাখব যেন বছর শেষে মেলাতে পারি।<br /><br />আজ দিনের শুরু যদি দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ধরি তাহলে প্রথম যে কাজটা করেছিলাম তা হলো, অত রাতে হঠাৎ করে নুডুলস রাঁধতে শুরু করেছিলাম! দেশে ফোন করে কথা বলেছি বেশ খানিকক্ষন। তারপর খানিক মুভি দেখেছি। কোন এক ফাঁকে নেট থেকে বেশ কিছু নাটক আর অন্য অনুষ্ঠান ডাউনলোড করেছি। ইপ্রথমআলোর সাইটে ঢুঁ মেরেছি। এরপর ছোটআপুর সাথে চ্যাট করা শুরু করে শেষ করেছি রাত (নাকি ভোর?) সাড়ে ৪টায়। তক্ষুনি ফজরের আজান শুনে (কম্পিউটারে, সফটওয়্যার আর কি) নামাজ পড়ে নিলাম। এইটা একটা ভালো ব্যাপার, প্রথম দিনটায় প্রথম নামাজটা পড়েছি। তারপরে ৫টায় ঘুমুতে গেলাম। সারারাত জেগে যা হলো আর কি, ঘুম ভাঙলো অর্ধেক দিন পার করে, দুপুর ১:৪৭-এ। ফ্রেশ হয়ে যথারীতি সকালের নাস্তা তো করাই হলো না, এবং লাঞ্চও নয়। আমি বরং পরের বেলার জন্য সবজি রাঁধলাম। ঘুম ভেঙেই এসএমএস পেয়েছিলাম, আজ ভারী খাবার না খেয়ে রুটি-সবজি খাবার বাসনা পোষন করেছেন তিনি (এইটা একটা বেশ ভালো রকম রেভ্যুলেশন বলা যেতে পারে)। তো সবজি রাঁধা শেষ হতে হতেই মনে হতে লাগলো, বছরের প্রথম দিনে মা বাসায় কত কি রাঁধতেন। আমার কি সেই ট্র্যাডিশন রাখা উচিত নয়? মনে মনে রুটির প্ল্যান বাদ দিয়ে অন্য কিছুর নকশা করা হয়ে গেলো। সে ফেরার পরই বলতেই রাজি হয়ে গেলো ডায়েটিং প্ল্যান বাতিল করতে (হবে না আবার :-)? )<br /><br />তারপরে একটু ঘুরতে বেরুনো হলো, টুকিটাকি বাজার। আবার ঘুরঘুর। যেটা মজা হলো, হুট করেই ড্রাইভিং শেখানোর একটা চেষ্টা করা হলো আমাকে। ড্রাইভিং-এ আমার খুব ইন্টারেস্ট আছে, আমি বহুবার স্বপ্নে দেখেছি যে গাড়ি চালাচ্ছি। নানান ধরনের এক্সাইটিং স্বপ্ন। কখনও স্বাভাবিকভাবে চালাই, কখনও বা কোন ভীষন ক্রাইসিস মুহুর্তে কাউকে উদ্ধার করতে হাতে নিই গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল। নানান দুর্গম পথ পাড়ি দিই অনভিজ্ঞ হাতে দারুন দক্ষতায়। কিন্তু সেই আমাকেই যখন তারু হাতে-কলমে শেখাতে চায়, আমি নানা গাঁইগুই শুরু করি। ভয় লাগে, পারব না...ইত্যাদি ইত্যাদি। আজও তাই করতেই সে বেশ ভাব নিয়ে প্রায় অর্ডার করে বললো, আজ এসব বলিস না, এটা নতুন বছরের নতুন একটা চেষ্টা। কমান্ড পেয়ে আমি বেশ সুবোধ বালিকার মত চট করেই রাজি হয়ে গেলাম। এটা দ্বিতীয় দিন আমার সত্যি গাড়ি চালানোর। মন্দ করিনি, তারু বলেছে। আমারও বেশ লাগলো। কিন্তু একসাথে এত কিছু কেন করতে হয় এটাই রাগ লাগছিলো। রাইটে দেখো, লেফটে দেখো, সামনে-পেছনে, একই পা দিতে ব্রেক এবং এক্সেলেটর, সিগনাল দাও...কত কি রে বাবা! ওইটুকু আঁকাবাকা রাস্তায় বারবার চক্কর দিতে আমার বেশ লাগছিলো, কিন্তু বড় রাস্তায় কেমনে কি! যা বুঝলাম, রাস্তায় যদি আর কোন গাড়ি না থাকে তো আমি ব্রেক চেপে বেশ ভালোই চলতে পারবো!<br /><br />এরপর গান শুনতে শুনতে এবং গাইতে গাইতে বাড়ি ফিরে দুমদাম করে ভুনা খিচূড়ী, আলু চপ আর গরুর মাংস রন্ধন। অতঃপর সবজি এবং শশা-টমেটো-গাজর-পেঁয়াজ-সরিষা তেলের সালাদের সাথে ভক্ষন। বেশ খানিকক্ষন আড্ডা। আর তারপর এই এখন লিখছি খানিক খেরোখাতায়। <br /><br />উফফ। মনে হচ্ছে নিজের সাথে বকর বকর করেই যাচ্ছি অনেকক্ষন ধরে। তবু তো ধরে রাখা হলো আজকের দিনটা। রাতটা বাকি আছে এখনও। সেইটুকু থাকুক নিজের কাছেই।<br /><br />কেউ যদি পড়ে থাকে এই সাধারণ দিনলিপি তাকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ভালো কাটুক, ভালো থাকুক সবাই। ভালো থাকুক আমাদের সোনার দেশটা, নতুন সম্ভাবনাকে সংগী করে বাস্তব সাফল্যের পথে।নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com11tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-50490653707489283102008-12-30T22:08:00.006+11:002008-12-31T15:23:13.669+11:00ক্যা কোঁ ক্যা কোঁআহ!<br /><br />অবশেষে মৌলবাদী এবং যুদ্ধাপরাধীদের বাঙালী চুড়ান্ত "না" বলতে শিখেছে। এবারের জাতীয় নির্বাচনে তাদের শোচনীয় পরাজয় এইটুকু আশা দেখাচ্ছে, নতুন প্রজন্ম তাদের ক্ষমা করে নি, করবে না। চিহ্নিত এইসব যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতার আসনে আর তামসা করতে দেখব না। আহা কি শান্তি। মুক্তিযোদ্ধা আলী আমানের পিঠে মারা লাথি এইবার চরম হয়ে গেড়ে বসেছে তাদেরই পিঠে। <br /><br />আহা কি আনন্দ! ক্যা কোঁ, ক্যা কোঁ!নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com7tag:blogger.com,1999:blog-1090308001181777331.post-56159952429279052862008-12-14T08:24:00.003+11:002008-12-14T14:33:09.100+11:00কথোপকথনসকাল সাড়ে সাতটা। এই সময়ে আমি জেগে বসে আছি এবং লিখছি এটা আমার জন্য মোটামুটি বিরাট কাহিনী।<br />ঘুমটা যে নেই চোখে তা নয়, কিন্তু ঘুমাতে ইচ্ছেও করছে না। থাকি জেগে কিছুক্ষন। ছুটিরই তো দিন, যদি আবার ঘুম পায় তো ঘুমানো যাবে।<br />আজ সাড়ে পাঁচটায়ও একবার ঘুম ভাঙলো। উঠে গিয়ে ফজরের নামাজটাও পড়ে নিলাম, বেশ একটা শান্তি শান্তি লাগছে।<br />কি যেন লিখতে চেয়েছিলাম ভুলে গিয়েছি.....<br /><br />বাসায় একদম একলা থাকতে কেমন যেন আজব লাগে। এই যে তারু এখন কাজে চলে গেলো, আমার ছুটি, কি ভালো হত যদি এখন গল্প করা যেতো। কেমন হতো যদি ছোটআপুর সংগে বসে গল্প করা যেতো। সকালের নাস্তাটা তো তৈরিই থাকতো নিশ্চয়ই টেবিলে। প্লেট হাতে নিয়ে হয়ত টিভির সামনে বসে গুটুর-গুটুর গল্প করতাম দুই বোনে মিলে। বা দৃশ্যটাকে এখনকার সময়ের সাথে মিলিয়েও নেয়া যায়। এখন তো দুজনেই বড় হয়ে গেছি, কেউ একজন হয়ত উঠে গিয়ে দুপুরের খাবারের রান্নাটা চড়াতাম চুলায়। ভাব নিয়ে "কেউ হয়ত" বলার অবশ্য কিছু নেই, এই "কেউ"টা ছোট আপু থাকতে আমি হবার কোন সম্ভাবনা কোনকালেই ছিলো না, নতুন করে হবেও না। কিন্তু এখন হয়ত বা আমি ওকে একটু সাহায্য করতাম, আর কাজের ফাঁকে ফাঁকে গল্প করেই যেতাম। অবশ্য আমাদের কথায় আমি মূলত শ্রোতা, আপুই বলে যায় বেশি, আমার ভালো লাগে শুনতে...কিন্তু এখন আসলে খুব বেশি হলে আমি যা করতে পারি তা হলো বাংলাদেশের এই মাঝরাত্তির সময়ে ওর মোবাইলে একটা কল দিতে পারি। নাহ, দরকার নেই। কত কিই তো চাইলেই হয়ে ওঠে না।<br /><br />কাল আমার খুব প্রিয় একটা খাবার রেধেছিলাম, কাঁচা আম দিয়ে ডাল! আমার কিইইইই যে মজা লাগে এটা। আহারে বাবারও খুব প্রিয়। আম্মু রোজ বেশ বড় সড় একটা পাতিলে ডাল রাঁধতেন, আর আমি আর বাবা মিলে সেটা সাবাড় করে দিতাম। আশেপাশে খালা-চাচীরা অবাক হয়ে বলতেন, এত বড় পাতিলে ডাল রাধেন ক্যান? সেই ডালটা যেমন তেমন হলে হবে না, মায়ের একটা স্পেশাল স্বাদ তাতে থাকবে। কখনও শুধু ডাল, কখনও সংগে টমেটো বা গ্রীষ্মকালে কাঁচাআম। আগে বুঝতাম না কেমন করে মা করেন, আর কারো ডাল কেন এত মজা লাগে না। এখন ঠিক শিখে গিয়েছি, তিন বোনই, ঠিক আম্মুর মত করে। ভাগ্যিস! আমিও প্রায় রোজ ডাল রাঁধি এখন, তবে ছোট্ট একটা হাঁড়িতে। তারুও খুব ডাল পছন্দ করে, সেও ভাগ্যিস! কালকে ডালের সাথে কাঁচা আম দেবার পর থেকেই কেবল বারবার আম্মুকে দেখাতে ইচ্ছা করছে। কি ছাতার জীবন হয়েছে, যেই মানুষটাকে দেখালে সব কিছু সার্থক হত মনে হয়, তাকেই কোথাও খুঁজে পাই না।<br />আচ্ছা, বাবাকে কে বলছে যে আমি ফেব্রুয়ারিতে দেশে যাচ্ছি। এ তো ভীষন বিপদ হলো! একেবারেই জানি না যে কবে যাওয়া হবে, কিন্তু এরকম আশা করে বসে থাকলে তো সমস্যা, পরে কি কষ্টটা পাবে। সেদিন যখন আমার বোনের ছেলে শাদিব আমাকে বললো, "তিততা, তুমি নাকি ঈদের এক মাস পরে দেশে আসছো?" আমি পুরাই আকাশ থেকে পড়লাম, আরো অবাক হলাম যখন শুনলাম ও বানিয়ে কিছু বলে নি, ওকে নাকি বাবা বলেছে। আহারে বাবাটাও এমন ছেলেমানুষ হয়ে গেছে। আমি কবে বললাম যে আমি আসছি? হুম, বিষয়টা হলো, কবে যেন বলেছিলাম যে ফেব্রুয়ারীতে দেশে আসতে খুব ইচ্ছা করছে। তা ফেব্রুয়ারী নিয়ে আদিখ্যেতা তো আমি সব সময়ই করি, কিন্তু ইচ্ছা করলেই আর যেতে পারবো? কি জানি, কেমন একটা আশা হয় বোকার মত, হয়ত যেতেও পারি। কিন্তু বাবাকে ফোন করে বলে দিতে হবে যেন আশা করে বসে না থাকে।<br /><br />আচ্ছা, এত হাবিজাবি কি সব বকে যাচ্ছি আমি, এখনও কি ঘুমের ঘোরে আছি? আবার কি ঘুমিয়ে পড়ব? ঘুম পাচ্ছে কিন্তু জেগে থাকতে ইচ্ছা করছে। পরোটা আর ডিম ভাজি নাস্তা করতে ইচ্ছা করছে কিন্তু ভীষন আলস্য হচ্ছে। সবকিছুতে এত বৈপরিত্য কেন?<br /><br />বাইরে রোদ নেই একটুও, রোদ আজও আসবে না গত কয়েকদিনে মতই। কেমন বিষন্ন চারদিক। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ে আর প্রচন্ড ঠান্ডা আর দমকা হাওয়া। তবু একে মোটেই পাগলা হাওয়া বাদল দিন বলা যাচ্ছে না। গান শুনতেও ইচ্ছা করছে না, গল্প পড়তেও না, সিনেমা দেখতেও না।<br /><br />কি যে করতে পারি এখন, জানি কি আমি?নিঘাত সুলতানা তিথিhttp://www.blogger.com/profile/01171944509548484876noreply@blogger.com5